ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: বাংলা বলায় মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন বালুরঘাটের ২ শ্রমিক! স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ। অবশেষে তৃণমূলের উদ্যোগে ঘরে ফিরেছেন তাঁরা। রবিবার সেই দুই শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ঘটেছিল তা বিস্তারিত শুনে আশ্বাস দিলেন পাশে থাকার।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের বাসিন্দা দুই শ্রমিক হলেন অসিত সরকার ও গৌতম বর্মন। মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে শ্রমিকের কাজ করতেন তাঁরা। চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলা বলার অপরাধে অবৈধ অভিবাসী আইনে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই শ্রমিকের ঠাঁই হয় জেলে। এরপরই গৌতমের স্ত্রী স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ। বিষয়টা জানামাত্রই পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। তৃণমূল ও দলের সাংসদ সামিরুল ইসলামের উদ্যোগে ঘরে ফিরেছেন দুই শ্রমিক। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। সাংসদকে পাশে পেয়ে আপ্লুত ২ শ্রমিক।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভাষা আন্দোলনে’র সূচনা করেছেন তিনি। বাংলায় দাঁড়িয়ে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগের পালটা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে বা যারা অনুপ্রবেশ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
