সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতবারের সাংসদ। কেন্দ্রের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী। ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের শাসকদলের অবিসংবাদী নেত্রী। অথচ এ হেন নেত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। এখনও দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমক্র্যাটিক রিফর্মস বা ADR।
ADR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৯ জনই কোটিপতি। এমনকী সর্বহারার দল সিপিএমের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও (Pinarayi Vijayan) কোটিপতি। গোটা তালিকায় ব্যতিক্রম শুধুই মমতা (Mamata Banerjee)। এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৫ লক্ষ টাকার সামান্য বেশি।
[আরও পড়ুন: নিচুতলায় সিপিএমের সঙ্গে মহাজোট চাইছে RSS, আলিমুদ্দিনে উদ্বেগ]
আসলে দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থাকলেও বেতন নেন না মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদ হিসাবে পেনশনও নেন না, মুখ্যমন্ত্রী পদের বেতনও নেন না। মুখ্যমন্ত্রীর রোজগারের উৎস শুধু তাঁর লেখা বই এবং আঁকা ছবি। অনুগামীরা তাঁকে বলেন সততার প্রতীক। বিরোধীরাও তাঁর বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ, কুৎসা করে থাকেন, কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও দুর্নীতির অভিযোগ বিরোধীরাও করতে পারেননি। রাজ্যে যখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদল বিদ্ধ, ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি খানিকটা স্বস্তি দেবে তৃণমূলকে (TMC)।
[আরও পড়ুন: বাংলার মিড ডে মিলে ১০০ কোটির গরমিল! কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট ওড়াল তৃণমূল]
দেশের দরিত্র মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কেরলের পিনারাই বিজয়ন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটির সামান্য বেশি। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের সম্পত্তির পরিমাণও এক কোটির সামান্য বেশি। দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ধনীতম হলেন অন্ধ্রের জগনমোহন রেড্ডি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬৩ কোটি টাকা। তিনি রয়েছেন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৩ কোটি টাকা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা করে।