ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: শহরে ফের শিশুমৃত্যু। বুধবার গভীর রাতে দুই হাসপাতালে তিন একরত্তির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নিউমোনিয়া ও অপরজন আ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus) আক্রান্ত ছিল। সবমিলিয়ে এপর্যন্ত রাজ্যে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ৪৯টি বাচ্চার মৃত্যু হল বলে সূত্রের খবর।
বুধবার রাত ১টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে ফের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বারাসতের বাসিন্দা শিশুটি গত শনিবার থেকে ভরতি ছিল হাসপাতালে। বয়স আড়াই মাস। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে খুদেটির।
[আরও পড়ুন: বিধানসভার ফল LIVE UPDATE: খেলা ঘুরছে ত্রিপুরায়! বিজেপিকে টক্কর বাম-কং জোটের]
আবার ১ বছর ৩ মাস বয়সের এক শিশু গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিট ভর্তি ছিল। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ছেন, বাচ্চাটির দু’টি ফুসফুসেই সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল। অ্যাডিনো পজিটিভ ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। সাড়ে তিন বছরের শিশু অগ্নিসা জানার বিসি রায় হাসপাতাল মৃত্যু হয়। খানাকুলের বাসিন্দা। মঙ্গলবার জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে সমস্যার কারণে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: চাকরি খোয়ালেন নবম-দশমের ৬১৮ ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, সুপারিশপত্র প্রত্যাহার SSC’র]
দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও সংক্রমণে ভাঁটা পড়েনি। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও ৮৫টি বাচ্চা বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভরতি হয়েছে। মেডিক্যালে ভরতি হয়েছে ১৮টি শিশু। দু’টি হাসপাতালেই বাচ্চাদের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দু’টি হাসপাতালেই পরির্দশন করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। পরে স্বাস্থ্য সচিব জানান, বিসি রায় হাসপাতালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আরও ৭২টি শয্যা বাড়ানো হল। মেডিক্যালে আরও ৫০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। একধাপ এগিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের আশঙ্কা, যতগুলো বাচ্চা এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে তাদের ফুসফুসে স্থায়ী সমস্যা বা কনজিনেন্টাল হার্ট ডিজিজ ছিল।