সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর পুলিশ। গত শনিবার লিওনেল মেসির সফরকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যুবভারতী। চেয়ার ভেঙে, গোলপোস্ট ছিড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় আমজনতা। ঘটনার পর দু'দফায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ভাঙচুরের অভিযোগে। এবার সেই ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা আরও বাড়ল। একই সঙ্গে শুক্রবার মেসির অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর বাড়িতেও হানা দিল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতীর নানা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই তিনজনকে। ধৃতদের নাম রাজু দাস ওরফে গোপাল দাস, সৌম্যদীপ দাস ওরফে পাপ্পু এবং তন্ময় দে ওরফে দুষ্টু। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লেকটাউন এবং নাগেরবাজার থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে যুবভারতীতে ভাঙচুরের অনেক তথ্য মিলবে বলেই আশাবাদী পুলিশ। যুবভারতী ভাঙচুরে মোট গ্রেপ্তারির সংখ্যা পৌঁছল ৯-এ।
বিধাননগর পুলিশের পাশাপাশি যুবভারতীতে তাণ্ডব নিয়ে তদন্ত করছে সিটও। সূত্রের খবর, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতীর একাধিক ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। কেবল ভাঙচুর নয়, যুবভারতী থেকে বহু জিনিস বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে শনিবার মাঠে থাকা দর্শকদের। তাদেরও ধরপাকড়ের পথে হাঁটছে সিট, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। তবে সিটের তরফ থেকে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত।
পাশাপাশি শুক্রবার শতদ্রুর রিষড়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ থানার মহিলা পুলিশ-সহ পাঁচজন আধিকারিক রিষড়া থানার সহযোগিতায় পৌঁছে যায় শতদ্রুর বাড়িতে। তিনতলা বাড়িতে সুইমিং পুল, ফুটবল মাঠ আছে। কিন্তু এদিন একমাত্র পরিচারিকা ছাড়া কেউ বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বিলাসবহুল বাড়ির ঘরে ঘরে তল্লাশি হয়। মেসির শোয়ে কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করবে ইডি। তবে শতদ্রুর কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি এখনও পর্যন্ত।
