ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআরের চাপে আরও এক বিএলওর আত্মহত্যার অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার রানিবাঁধ। রবিবার সকালে উদ্ধার হয়েছে দেহ। সূত্রের খবর, মিলেছে মৃতের সই করা একটি নোট। তাতে লেখা, "আমি আর চাপ নিতে পারছি না।" খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু তদন্ত। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে উঠেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। কমিশন ও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হারাধন মণ্ডল। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের রাজাকাটার ২০৬ নম্বর বুথের বিএলও ছিলেন তিনি। পেশায় স্কুলশিক্ষক। রবিবার সকালে স্কুল থেকে উদ্ধার হয় হারাধনের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, দেশের পাশে মিলেছে একটি চিঠি। সেখানে লেখা ছিল, "আমি আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়। এই বিএলও কাজের জন্য আমিই দায়ী। এর সঙ্গে কারও যোগ নেই, ভুল আমার। আমার ছেলে কোনও কাজ করতে দেয়নি। আমি সব করেছি। আমি কাউকে বিশ্বাস করিনি। সব ঠিক করে ভুল করলাম। ক্ষমা কর আমাকে।" চিঠির নিচে তারিখ দিয়ে সইও রয়েছে বিএলওর।
উদ্ধার হওয়া নোট।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বাঁকুড়ায়। খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শেষদিকে বাংলায় এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছিল, যাদের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে, বা পরিবারের কারও নাম রয়েছে, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তা সত্ত্বেও এসআইআর নিয়ে আমজনতার মনে হাজার প্রশ্ন ছিল। তাড়া করছিল ভয়। যার পরিণতি হয়েছে মর্মান্তিক। দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। তবে শুধু ভোটাররা নন, বিএলওরাও কাজের চাপে আত্মহত্য়া করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। হিয়ারিং পর্বেও ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
