সৈকত মাইতি, তমলুক: প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার শাস্তি। বিষাক্ত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম আকাশ সামন্ত। চণ্ডীপুরের কুশলপুরের বাসিন্দা সে। পেশায় সে নির্মাণ শ্রমিক। কাজের জন্য পাশের বিরামপুর এলাকায় গিয়ে শ্রাবণী ভূঁইঞা (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দেখে। নাবালিকাকে ভালো লেগে যায় যুবকের। বারবার শ্রাবণীকে সেকথা জানায় আকাশ। কিন্তু রাজি হয়নি নাবালিকা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আকাশ। পছন্দের নাবালিকাকে খুনের ছক কষে সে। এসবের মাঝে জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে স্কুলের সরস্বতী পুজোর কার্ড বিলি করতে বেরিয়েছিল শ্রাবণী। তখন বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকাতেই তার পথ আটকায় আকাশ। অভিযোগ, কোল্ডড্রিংসের একটি বোতলে আগে থেকেই ঘাস মারা বিষ মিশিয়ে নিয়ে এনেছিল আকাশ। আর সেটি খাওয়ার জন্য রাস্তার মাঝেই রীতিমতো জোর করতে শুরু করে অভিযুক্ত। এক পর্যায়ে নাবালিকা ও তার বন্ধু তা খেয়ে নেয়। ফলে শ্রাবণী-সহ আরও ২ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় নাবালিকার।
এই খবর জানাজানি হতেই এলাকা বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতার বাবা বলেন, "মেয়ে ওই যুবকের বিয়ের প্রস্তাবে কোনওভাবেই রাজি ছিল না। শুধুমাত্র সেই কারণেই আমার মেয়েকে পরিকল্পনামাফিক বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে। আকাশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।" এদিকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শ্রাবণীর সহপাঠি। চণ্ডীপুর থানার ওসি দীপক অধিকারী জানিয়েছেন, স্কুলছাত্রীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
