সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদ প্রতিদিনের খবরে সিলমোহর! বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Gangopadhyay)। সম্ভবত ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। তবে কোন আসন থেকে লড়াই করবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপি একমাত্র সর্বভারতীয় দল। ওরা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “খুব অল্প সময়ে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিজেপি আমাকে প্রস্তাব দেয়। ৭ দিনের মধ্যে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ওই সময় তিনি আদালতে বসিনি। এই ৭ দিন আইনের কোনও কাজ করেননি। তখন বিজেপির সঙ্গে কথা চলেছিল। এর পরই পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগ দিলেন ‘বহুচর্চিত’ প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শেষে তাঁর খোঁচা, তৃণমূল মুখপাত্রদের অনুপ্রেরণায় বিজেপিতে যোগ দিলাম। ওঁরা আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে ভোটের ময়দানে চলে এলাম।” একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন কেন তিনি কংগ্রেস বা সিপিএমে যোগ দিচ্ছেন না।
[আরও পড়ুন: ‘নাস্তিক’ সিপিএম নাপসন্দ, কংগ্রেসে ‘পরিবারতন্ত্র’, দুই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অভিজিতের]
অভিজিৎ জানিয়েছেন, কোন আসনে তিনি দাঁড়াবেন তা এখনও চূড়ান্ত নয়। এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির শী৪ষ নেতৃত্ব। তারা যা দায়িত্ব দেবে তা পালন করবেন। একইসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতির চ্যালেঞ্জ, “ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াতে ভয় পাই না। তাল পাতার সিপাহীকে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাতে পারি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) স্থায়ী বিচারপতি হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিচার, পর্যবেক্ষণ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। বিশেষত শিক্ষা দুর্নীতিতে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ দপ্তরের একাধিক শীর্ষ কর্তাব্যক্তি পুলিশের জালে এসেছেন। তার পর থেকেই বিচারপতি হিসেবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মনে বিশ্বাস জন্মায় যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই তাঁদের সুবিচার পাইয়ে দিতে পারেন। সেই বিশ্বাস আরও বাড়ে, যখন স্রেফ মন্ত্রীর মেয়ে হয়েই চাকরি পেয়ে যাওয়া শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে সেই পদে যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। এমনই তাৎপর্যপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিচারের জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর আস্থা বাড়ে। কিন্তু মাঝপথেই বিচারবিভাগ ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিলেন তিনি।