‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’বাতিল করে ফিরছে ইন্টারভিউ! শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে বদলের সুপারিশ SSC’র

07:38 PM Mar 22, 2023 |
Advertisement

দীপালি সেন: দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম বদলাতে সচেষ্ট হল SSC। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোর (Academic Score) তুলে দিয়ে পুরনো ইন্টারভিউ পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করা হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) তরফে। এর ফলে বিভিন্ন সময়ের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিশেষ ফারাক থাকবে না।

Advertisement

আসলে SSC’র বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের অ্যাকাডেমিক স্কোর বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এর ফলে যিনি ১০ বছর আগে পাশ করেছেন তাঁর সঙ্গে বর্তমানে যিনি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বরের তফাত হয়ে যায় অনেকটাই। যার ফলে আগে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। সেকারণেই SSC শিক্ষা দপ্তরের কাছে অ্যাকাডেমিক স্কোর তুলে দিয়ে ইন্টারভিউ পদ্ধতি ফেরানোর সুপারিশ করেছে।

[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য দিনক্ষণ, ১২টি ভেন্যুতে হবে ম্যাচ! কেন্দ্রকে ৯৬৩ কোটি দিচ্ছে BCCI]

এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (Siddhartha Majumdar) জানিয়েছেন, আপাতত নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামঞ্জস্য থাকবে। তিনি বলেন, একই সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে আসেন অনেকে। রাজ্যের বাইরে থেকেও অনেকে ডিগ্রি নিয়ে আসেন। তাঁদের নম্বরের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে। আর সময়ের ভেদে নম্বরের পার্থক্য হয় সেটা তো সর্বজনবিদিত। যেখানে চাকরি পাওয়ার জন্য ০.৫ বা ১ নম্বর মারাত্বক একটা তফাৎ গড়ে দেয়, সেখানে এই যে স্থান কাল ভেদে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। সেটা ঠিক নয়। সেজন্য এটা তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী আমি আগের নিয়ম অনুসারে। আমি সেই সুপারিশই শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছি।”

[আরও পড়ুন: শপথের পর বায়রনকে পদ্মের ফুল! ফের উঠছে আঁতাঁতের অভিযোগ]

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় কাউন্সেলিং এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া তুলে দিয়েছিল SSC। কিন্তু এবার সেটা ফেরত আনার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান SSC চেয়ারম্যান। তাঁর মতে, একজন শিক্ষক যিনি ক্লাস নেবেন, তাঁর বাচনশৈলী, বোঝানোর ক্ষমতা, এগুলো যাচাই না করে কী করে তালিকাভুক্ত করা হবে? অর্থ দপ্তর সুপারিশ করেছিল, ৩ বছরের জায়গায় ১০ বছর ওএমআর সংরক্ষণ করে রাখতে। সেই সুপারিশও মেনে নিয়ে এসএসসি।

Advertisement