অর্ণব আইচ: ফাঁদ পেতে এক যুবককে উত্তর কলকাতার যৌনপল্লিতে নিয়ে গিয়ে অনলাইনে টাকা হাতানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের নাকি সাহায্য করেছিল যৌনপল্লির কয়েকজন মহিলাও! ৫৭ হাজার টাকা হাতানোর পর মারধর করে ওই যুবককে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেন উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার আধিকারিকরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সন্তু হালদার। অভিযোগকারী যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি তিনি চাঁদনি চকে বৈদ্যুতিন সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে বলে, তাঁর মানিব্যাগ রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। মানিব্যাগ নিতে তিনি যেন বড়তলা এলাকায় একটি সিনেমাহলের সামনে যান। এতেই যুবক ধন্দে পড়ে যান। তবুও তিনি সিনেমাহলের সামনে যান তিনি। অভিযোগ, তখনই ব্যাগটি দেওয়ার নাম সোনাগাছির একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।ঘরের ভিতর কয়েকজন মহিলাও ছিলেন। তাঁকে ভিতরে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি সোনাগাছিতে গিয়েছেন, তা বাড়িতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয়। এরপরই তাঁকে বলা হয় অনলাইনে ব্যাঙ্ক অ্যাাকউন্ট থেকে সব টাকা দিয়ে দিতে।
জোর করে কয়েকজন ব্যক্তি ও মহিলা অনলাইনে ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এর পর যুবককে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। টাকা খুইয়ে তিনি বড়তলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে, ওই ৫৭ হাজার টাকার মধ্যে ২৪ হাজার টাকা গিয়েছে সন্তু হালদারের অ্যাকাউন্টে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই সন্তুর ঠিকানা জানতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা। এর পরই সন্তুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে এই গ্যাংয়ের বাকিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।