shono
Advertisement

কলেজে গেস্ট লেকচারার-অধ্যাপক নিয়োগেও দুর্নীতি, মামলা কলকাতা হাই কোর্টে

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়।
Posted: 02:30 PM Aug 04, 2022Updated: 02:30 PM Aug 04, 2022

গোবিন্দ রায়: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। এসএসসি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পর এবার কলেজের অধ্যাপক নিয়োগ নিয়েও বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

মামলাকারীর অভিযোগ, কলেজে গেস্ট লেকচারার নিয়োগেও বেনিয়ম হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। তাঁদের প্রশ্ন, “কলেজে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই, অথচ লেকচারার হিসেব নিয়োগ কীভাবে?” এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ১২ থেকে ১৪ হাজার গেস্ট লেকচারার নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: দিল্লি যাচ্ছেন মমতা, বৃহস্পতিবার বৈঠক দলীয় সাংসদদের সঙ্গে, শুক্রবারই মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা]

রাজ্যের স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমন পরিস্থিতিতে পার্থর আমলে কলেজে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি দিয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের যোগ্য অথচ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। 

বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, “২০১৮ কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এড়াতে পারেন না। একইসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিক, ইন্টারভিউ বোর্ডের কিছু সদস্য এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।” অভিযুক্তদের নামও তাঁদের কাছে আছে বলে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

[আরও পড়ুন: পণ্ডিতিয়া রোডের অর্পিতার বেনামী ফ্ল্যাটে ফের ইডির হানা, তল্লাশিতে মিলবে আরও নগদ?]

২০২০ সালে প্যানেল প্রকাশের পরই একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি তাদের। বঞ্চিতদের আরও দাবি, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ খামবন্দি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে ‘Higher Education Department’-এর নাম জ্বলজ্বল করছে। অর্থাৎ উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সংঘটিত দুর্নীতির টাকা, উদ্ধারকৃত অর্থের সঙ্গে রয়েছে এটা অনুমান করা খুবই সঙ্গত।” তাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলেজ সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও তদন্তের দাবি জানিয়েছিল তারা। এবার দায়ের হল মামলাও। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement