স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভার দপ্তর বদল সংক্রান্ত প্রস্তাবের ফাইলও তিনদিন ধরে ‘ফেলে রেখেছেন’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার ঘরোয়া আলোচনায় তীব্র উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘উনি ক্ষমতা দেখাচ্ছেন, দেখি কতদূর যেতে পারেন।’’ তবে যেহেতু নতুন কোনও মন্ত্রী নিয়োগ হবে না তাই শপথের বিষয় নেই, কিন্তু পুরনো মন্ত্রীদের দপ্তর বদল নিয়ে রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, অন্তত তিনজন মন্ত্রীর দপ্তর বদল হচ্ছে। জল্পনা রয়েছে পর্যটন দপ্তর (Tourism Department) নিয়ে। বাবুল সুপ্রিয়র হাত থেকে পর্যটন নিয়ে এই দপ্তরের কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইন্দ্রনীল সেনকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইন্দ্রনীল বর্তমানে তথ্য ও সংস্কৃতি এবং কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী। এর সঙ্গে পর্যটনের পূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন গত মন্ত্রিসভায় এই দপ্তরেই ‘ভাল কাজ’ করা ইন্দ্রনীল। ইতিমধ্যেই নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি পুজোয় রাজ্য সরকারের তরফে যাবতীয় কাজের দায়িত্ব ইন্দ্রনীল সেনকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বভাবতই তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পাশাপাশি পর্যটনে ইন্দ্রনীলের আসার সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘একদম ঠিক কাজ করেছে ভারত’, প্রথমবার মোদি সরকারের নীতিকে সমর্থন মনোমোহনের]
কিন্তু দপ্তর বদলের এই জল্পনার মধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘‘জীবনের কিছু কিছু যুদ্ধে ওয়াক ওভার দিতে হয়’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘জ্ঞানীগুণী মানুষের দু’টি মন্ত্র আমি মেনে চলি। এক, শূকরের সঙ্গে মারপিট কোরো না। কারণ জিতলেও তোমার গায়ে কাদা লাগবে। দুই, বোকা লোকের সঙ্গে তর্ক কোরো না। সে তোমাকে প্রথমে তার স্তরে নামিয়ে আনবে। তারপর তার সেই নিম্নমানের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে হারিয়ে দেবে।’’
[আরও পড়ুন: রক্ষকই ভক্ষক! খাস কলকাতার হোমে টানা ১০ বছর ধরে লাগাতার ‘ধর্ষণ’ দুই নাবালিকাকে]
বাবুলের এদিনের পোস্টটিও নবান্নের (Nabanna) শীর্ষ মহলের নজরে এসেছে বলে খবর। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষেই বাবুল সুপ্রিয়কে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের বাইরে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গিয়েছিল। জলসম্পদ, অচিরাচরিত শক্তি এবং পরিবেশ দপ্তরও বদল হতে পারে। পরিবেশ বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রয়েছে। আর জলসম্পদের দায়িত্বে মানস ভূঁইঞা। জল্পনা রয়েছে খাদ্য দপ্তর বদলেরও। নবান্নের শীর্ষমহলে খাদ্য দপ্তরের কিছু সিদ্ধান্ত ও পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিন বিধানসভার অলিন্দেও জোর জল্পনা ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও রথীন ঘোষের দপ্তর বিনিময় ঘিরে। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে এসে দেখা করে প্রণাম করলে রথীনকে ‘ভাল করে কাজ করার’ পরামর্শ দেন মমতা। জ্যোতিপ্রিয়র অচিরাচরিত শক্তি দপ্তর অন্য কোনও সিনিয়র মন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।