সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটেয় দ্বিতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন নয়, অনুষ্ঠান হবে হাজার হাজার মানুষের সামনে। সেই অনুষ্ঠানে হেমন্তর পাশে দেখা যাবে তাঁকে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যেখানে বাংলার উপনির্বাচনে ৬টির মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে সদ্য মহারাষ্ট্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। ১০২টি আসনে লড়ে হাত শিবির জয় পেয়েছে মাত্র ১৬টিতে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা হেমন্তর শপথে মমতা উপস্থিতি যেন তাঁকেই নতুন করে ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে তুলে ধরবে। কেননা বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে যেভাবে কংগ্রেস বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে ঘাসফুল শিবির ধাক্কা দিতে সমর্থ হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মোদির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই উজ্জ্বল হয়েছে।
এদিকে সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে পর ইন্ডিয়া জোট একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছে। এর আগে হরিয়ানায় কার্যত ‘নিশ্চিত জয়’ হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। মহারাষ্ট্রেও মহা বিকাশ আঘাড়ি মহাজুটিকে সমানে সমানে টক্কর দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু মারাঠাভূমে একপেশেভাবে জয় পেয়েছে বিজেপি জোট। ইন্ডিয়া জোট কার্যত ধরাশায়ী। সেখানে একমাত্র হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোটের মানরক্ষা করেছেন। গোটা দেশে হতাশার মধ্যে হেমন্তই আশার আলো। সম্ভবত সেকারণেই তাঁর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানকে মেগা শো হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট।