ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শৃঙ্খলারক্ষায় আরও কঠোর হল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে তিনটি কমিটি গঠিত হল। সোমবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের অন্যতম মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, শৃঙ্খলারক্ষায় তিনটি কমিটি তৈরি করা হল। একটি সংসদীয়, একটি পরিষদীয় এবং দলীয় স্তরে। কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তাঁকে শোকজ নোটিস দেওয়া হলে জবাব দিতেই হবে। অন্যথায় পর পর তিনটি শোকজ নোটিসে ওই সদস্যকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হবে।
সোমবার কালীঘাটে কর্মসমিতির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, শৃঙ্খলারক্ষায় তিনটি আলাদা কমিটি তৈরি করা হল। সংসদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫। তাঁরা হলেন -
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেরেক ও ব্রায়েন
কাকলি ঘোষ দস্তিদার
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
নাদিমুল হক
বিধানসভায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ৬ সদস্য -
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
নির্মল ঘোষ
অরূপ বিশ্বাস
ফিরহাদ হাকিম
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
দেবাশিস কুমার
দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ৫ সদস্য -
সুব্রত বক্সি
অরূপ বিশ্বাস
ফিরহাদ হাকিম
সুজিত বসু
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
এই কমিটির কথা ঘোষণা করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে দলের কেউ যখনতখন যা খুশি মন্তব্য করতে পারবেন না। কাউকে তিনবার শোকজের পর সাসপেন্ড করা হবে।" অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতে দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন। আর জি কর আবহে চিকিৎসকদের উদ্দেশে শাসকদলের নানা জনের নানা মন্তব্য উঠে এসেছে শিরোনামে। সমালোচনাও কম হয়নি। সেসব রুখে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে এবার শৃঙ্খলায় আরও জোর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ এ বিধানসভা ভোটে দলের পারফরম্যান্স অক্ষুণ্ণ রাখতে এমনই রদবদল করা হল।