সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সেই ২০২১ সালেই রাজ্যে ইচ্ছামতো সিবিআই তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে তৃণমূল সরকার। তার পরও আদালতের নির্দেশে একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করেছে সিবিআই। যার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি নিয়ে কোনওরকম রায় দিল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই ২০২০ সালেই সিবিআইকে দেওয়া ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে রাজ্য সরকার। যার ফলে আদালতের নির্দেশ না থাকলে রাজ্যে কোনও মামলা দায়ের করতে হলে সিবিআইয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তার পরেও আদালতের নির্দেশে তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআই বিভিন্ন মামলায় এফআইআর দায়ের করে। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের পরে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই বহু এফআইআর দায়ের করতে শুরু করায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনে সিবিআইকে এফআইআর করার আগে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: সোনিয়ার হস্তক্ষেপে কাটল জট! উত্তরপ্রদেশে জোট হচ্ছে সপা-কংগ্রেসের, ঘোষণা অখিলেশের]
গত প্রায় ৩ বছরে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের বিবাদের এই মামলা বহু বার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হলেও এক বারও শুনানি হয়নি। ধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিআর গভই জানান, রাজ্য সরকারের উচিত সিবিআই (CBI) অনুমতি ছাড়া মামলা দায়ের করছে, সেই অভিযোগ নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো। এরপরই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটির দ্রুত শুনানি চেয়ে বেঞ্চে আবেদন করে।
[আরও পড়ুন: বিয়ে করায় সেনার চাকরি হারান নার্স! কেন্দ্রকে ৬০ লক্ষ ক্ষতিপূরণের সুপ্রিম নির্দেশ]
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল (Kapil Sibbal) বলেন, এর আগে এই মামলার ৯ বার পিছিয়ে গিয়েছে। এবার এটা দ্রুত শুনানির অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলে দেন, মামলাটি এমন কিছু জরুরি মামলা নয়। আড়াই বছর ধরে এটা চলছে। শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি জানান, মামলাটি যেহেতু বিচারপতি গভইয়ের বেঞ্চে, তাই তিনি কোনও নির্দেশ দেবেন না। তবে বিচারপতি গভইয়ের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
