রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দিল্লি সফরের পর আরও তৎপর বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নালিশ জানাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন বাংলার বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলার সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন। সূত্রের খবর, আগামী দু’দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন তাঁরা। ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ একাধিক বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন তাঁরা।
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) পাশাপাশি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করবেন বিধায়কেরা। PAC চেয়ারম্যান নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সে সংক্রান্ত আলোচনা করতেই লোকসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করবেন বিধায়কেরা। পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মন্ত্রীদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন বঙ্গের বিজেপি বিধায়কেরা। রাজ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন বিধায়কেরা। এ বিষয়ে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা জানান, আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লি (Delhi) যাওয়ার কথা। কবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
[আরও পড়ুন: গোপনে গৃহবধূর স্নানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি, ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক]
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল (TMC)। জল গড়িয়েছে আদালতেও। এ প্রসঙ্গে রিপোর্ট দিয়েছে মানবাধিকার কমিশনও। তবে সেই রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও দিলীপ ঘোষদের (Dilip Ghosh) দিল্লি সফর যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে, চলতি মাসে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির (BJP)। ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও সপ্তাহ পালন করবে গেরুয়া শিবির। ১৩ আগস্ট রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছে মহিলা মোর্চা।