স্টাফ রিপোর্টার: সামাজিক নিরাপত্তায় বিপুল সাফল্যের পর শিল্প বিস্তারে এবার কৃষিতে জোর। সার্বিক লক্ষ্য কর্মসংস্থান। এই মূল ধারাকে সামনে রেখে আজ নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে দু দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Global Business Summit)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে যোগ দিতে চলেছেন রাজ্য তথা দেশের সমস্ত বণিকসভা ও শিল্প সংস্থার কর্তারা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই চলে আসবেন রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani), সঙ্গে আসতে পারেন তাঁর বড় পুত্র করণ আম্বানি। এছাড়াও সজ্জন জিন্দাল-সহ রাজ্যের সমস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্তারা থাকবেন। সম্মেলন শুরু হবে দুপুর তিনটেয়। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার সঙ্গে পরপর বৈঠক করবেন। বিশেষ নজরে মুকেশ আম্বানির সঙ্গে মমতার বৈঠক।
এবারের সম্মেলনে সহযোগী দেশ ইংল্যান্ড, আমেরিকা, জাপান, মালয়েশিয়া ও লুক্সেমবার্গ। সব মিলিয়ে ১৭টি দেশ থেকে আসছেন বণিকসভার কর্মকর্তারা। গত সেপ্টেম্বরেই মুখ্যমন্ত্রী লগ্নির লক্ষ্যে স্পেনে (Spain) গিয়েছিলেন। মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় দুটি শিল্প সম্মেলন করেন। স্থানীয় উদ্যোগপতিরা খুব উৎসাহের সঙ্গে যোগদান করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বাংলায় আসার আহ্বান জানান। জানা গিয়েছে, স্পেন থেকে একটি বড় প্রতিনিধিদল কলকাতার (Kolkata) বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। ‘জারা’ ও ‘লা লিগা’র সঙ্গে রাজ্যের চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিষয়েও চূড়ান্ত রূপরেখা এই সম্মেলনে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও দুবাইয়ের শিল্প সম্মেলনে ‘লুলু’ গোষ্ঠী অংশ নিয়েছিল। বাংলায় বিনিয়োগ করার ঘোষণাও করেছিল। শিল্প সম্মেলনে তাদের উপস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে সবার।
[আরও পড়ুন: BJP কর্মীদের মারধরের নিদান! উদয়নের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ কংগ্রেসের কৌস্তভ]
মঙ্গলবার সম্মেলনের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কনভেনশন সেন্টারের লাগোয়া এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন। তিনটেয় মূল অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন রাজ্যের শিল্পকর্তারা এই রাজ্যে তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন, তেমনই আম্বানি-সহ দেশের শিল্পমহল তাঁদেরও বাংলা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলবেন। সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী লগ্নির আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সন্ধ্যায় এক্সিবিশন সেন্টারেই রয়েছে নৈশভোজ (Dinner)। তার আগে ‘ইন্টারন্যাশনাল সেশন’।
[আরও পড়ুন: Jaynagar: থাকবে না রাজনৈতিক রং, দলুয়াখাঁকি গ্রামে ত্রাণ বিলি করতে পারবে বামেরা, অনুমতি হাই কোর্টের]
পরদিন অর্থাৎ বুধবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ ও ধনধান্য স্টেডিয়ামেও বাণিজ্য সম্মেলনের বিভিন্ন সেশন রয়েছে। অর্থাৎ, শহর জুড়েই এবার বাণিজ্য সম্মেলন। কৃষি ও শিল্পে সমান জোরের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি জোর ক্ষুদ্রশিল্প, টেক্সটাইল, এডুকেশন, হেলথ কেয়ার ইত্যাদি বিষয়গুলি রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিল্প সংস্থা এ ব্যাপারে রাজ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেবে। ইংল্যান্ড থেকে একটি বড় দল আসছে। এদিকে, শিল্পায়নের এই সার্বিক পরিবেশকে কাজে লাগাতে রাজ্য তথা দেশের শিল্পমহলও তৎপর। সিআইআই ও ফিকি-র ন্যাশনাল কমিটির অধিবেশনও ডাকা হয়েছে কলকাতায়। বস্তুত, ২০১১ সালের ক্ষমতায় এসেই মুখমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন কৃষি ও শিল্প – একসঙ্গে নিয়েই এগোবেন। কৃষিতে সাফল্য এসেছে। এবার শিল্পের মাধ্যমে তাঁর নজর বেকারদের সার্বিক কর্মসংস্থানে।