সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখে জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেম নিয়ে বড় বড় কথা বলে। অথচ নির্ভুলভাবে জাতীয় সংগীতই গাইতে পারেন না। ডুমুরজলার জনসভায় উপস্থিত বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার রাতেই দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীরা। রবিবার ডুমুরজলার সভায় হাজির হন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী বৈশালী ডালমিয়া, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ-সহ সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীরা। এই সভাতেই ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সশরীরে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। সেখানেই নিজেদের বক্তব্য শেষে জাতীয় সংগীত গান প্রত্যেকে। আর তখনই ধরা পড়ে মারাত্মক ভুলটি।
[আরও পড়ুন: ‘আপনি অন্যায় করেছেন, মানুষ ক্ষমা করবে না’, ভারচুয়াল সভায় মমতাকে হুঁশিয়ারি শাহর]
বিজেপি নেতা-নেত্রীদের গাওয়া সেই জাতীয় সংগীতের ভিডিওটি পোস্ট করে ভুল জায়গাটি ধরিয়ে দেন অভিষেক। যেখানে গানের শেষভাগে ‘জনগণ মঙ্গলদায়ক…’র পরিবর্তে ‘জনগণমন অধিনায়ক’ শব্দগুলি ভেসে আসে। ভিডিও পোস্ট করে তীব্র আক্রমণ শানান অভিষেক (Abhishek Banerjee)। লেখেন, “যাঁরা জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা আমাদের দেশের জাতীয় সংগীতটাও সঠিকভাবে গাইতে পারেন না। এই দলই আবার দেশকে গর্বিত করার কথা বলে। এই ‘দেশবিরোধী’ কাজের জন্য নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও বিজেপি কি ক্ষমা চাইবে?”
গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র জানান, সবাই মিলে একসঙ্গে ভুল জাতীয় সংগীত গাইবেন, এমনটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ভিডিওটির সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে। পালটা দিতে ছাড়েননি আরেক বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তৃণমূলের একটি সভার পুরনো ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে জাতীয় সংগীত গাইতে দেখা যাচ্ছে। তিনিও গানের কথা ভুল করেন। ঠিক তাঁর পাশেই দাড়িয়েছিলেন অভিষেক। সেটি পোস্ট করেই শঙ্কুদেব প্রশ্ন তোলেন, “খোকনসোনা শুনলে? এবার কি বলবে?”
এর আগেও একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। আর এদিন অভিষেকের ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল।