গোবিন্দ রায়: জয়নগরের (Jaynagar) দলুয়াখাঁকি গ্রামে ত্রাণ বিলির অনুমতি পেল বামেরা। তবে ত্রাণ বিলিতে কোনও রাজনৈতিক পরিচয় থাকবে না। সোমবার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, পর পর দুদিন গৃহহারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন বাম নেতারা। আটকে দিয়েছিল পুলিশই। তাই দুর্দশাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর অনুমতি পেতে আদালতে ছুটেছিলেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। এদিন সেই অনুমতি পেলেন তাঁরা।
এদিন আদালত জানিয়েছে, জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে যেতে পারবেন সিপিআইএম নেতারা। ৫ জনের বেশি ত্রাণ দেওয়ার জন্য গ্রামে যেতে পারবেন না। কিন্তু সেখানে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে না। উসকানিও দেওয়া যাবে না। কোনও সভা করা যাবে না। নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে গ্রামে যাওয়ার আগে জয়নগর থানাকে জানাতে হবে। ত্রাণ দেওয়ার সময় পুলিশও সঙ্গে যাবে। পাশাপাশি গ্রামে প্রবেশের ক্ষেত্রে গ্রামেরই বাসিন্দা মহিলাদের বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট দেবে জেলার পুলিশ সুপার।
[আরও পড়ুন: দলুয়াখাঁকিতে বাধা অম্বিকেশ মহাপাত্রকে, পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে মামলা হাই কোর্টে]
প্রসঙ্গত, গত সোমবার, ১৩ নভেম্বর ভোরে নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের খুন হন দলুয়াখাঁকির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফউদ্দিন লস্কর। এই ঘটনায় উত্তেজনার মাঝেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় অন্যতম অভিযুক্তের। এর পর পালটা এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু বাড়ি। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে দু দলের মাঝে পড়ে ভিটেহারা হন দলুয়াখাঁকির বহু নিরীহ মানুষ। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই ছুটে গিয়েছিল বাম নেতৃত্ব। একবার নয়, পর পর দুবার। সেই সময় পুলিশি বাধা পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁদের। এবার আদালতের নির্দেশে সেই বাধা কাটল।
[আরও পড়ুন: সভা করার অধিকার সবার, ধর্মতলায় শাহী কর্মসূচি নিয়ে পুলিশকে বার্তা হাই কোর্টের]