গোবিন্দ রায়: লকআপে যুবক মৃত্যুর ঘটনায় মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। ঘটনার আগে ও পরের তিনদিনের থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বক্তব্য, যথেষ্ট গুরুতর ঘটনা। স্বচ্ছভাবে এর তদন্ত হওয়া জরুরি।
মৃত গোবিন্দ ঘোষ, মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা। সেনাছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করতেন। প্রতিবেশী এক পুলিশকর্মীর বাড়িতে তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠে। পুলিশ গত ৩ আগস্ট তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলেই অভিযোগ। জেল লকআপে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। অভিযোগ, জেরার মাঝে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। আর তার জেরে মৃত্যু হয় গোবিন্দের। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পরেও দুঃসংবাদ পরিবারের লোকজনকে দিতে দেরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় আগেই ওসি অমিতকুমার ভকতকে সাসপেন্ড করা হয়।
[আরও পড়ুন: অল্পের জন্য রক্ষা! মাঝআকাশে পাখির ধাক্কা ইন্ডিগোর বিমানে, জরুরি অবতরণ পাইলটের]
এবার নবগ্রাম থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বক্তব্য, যথেষ্ট গুরুতর ঘটনা। স্বচ্ছভাবে এর তদন্ত হওয়া জরুরি। ঘটনার আগে ও পরের তিনদিনের থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি দেখতে চায় আদালত। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর জানাতে হবে আদালতে।