সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অনিশ্চিত ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। শুক্রবার নজিরবিহীন নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ টানলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত জানায়, ২০১৪ সালের টেটের সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিকবাবু। তাই বাতিল হওয়া শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে টাকা খরচ হবে, তা মানিকের কাছ থেকে নিতে পারে রাজ্য সরকার।
গত বছরের অক্টোবর ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হন মানিক ভট্টাচার্য। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী এবং ছেলেও বর্তমানে জেলে রয়েছেন। মানিকের কাছ থেকে আগেই ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সেই জরিমানার টাকা মানিক দেননি বলেই অভিযোগ করেন ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী শাহিলা পারভিন। তারপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যের দেশ, বিদেশের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! কেন চাকরি গেল? চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ কী?]
শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকের ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ওই শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশও দেন। ওই শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল টাকা খরচ হবে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকার মানিক ভট্টাচার্যের সেই টাকা থেকে নেওয়া যেতে পারে বলেই জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।