গোবিন্দ রায়: তথ্যের অধিকার আইনে আবেদনের পরেও মেলেনি ওএমআর শিট। এই অভিযোগের শাস্তি হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
গত ২০১৭ সালে সহিলা পারভিন নামে ওই পরীক্ষার্থী টেট দেন। অভিযোগ, আরটিআই করার পরেও মেলেনি ওএমআর শিট। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। তিনি আবেদন জানানো সত্ত্বেও তাঁর আবেদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মামলাকারী আইনজীবী তীর্থঙ্কর দে জানান, যে পদ্ধতি আবেদন করেছেন তার কোনও বিকল্প হয় না। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর মক্কেল সহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও একবার মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জরিমানার নির্দেশ দেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের।
[আরও পড়ুন: কাঁথি ধর্ষণ মামলা: বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূলের ছাত্রনেতা]
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মানিক ভট্টাচার্যের জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে চলতি মাসের ১৬ জানুয়ারি মানিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মালারানি পালের অভিযোগের শাস্তিস্বরূপ জরিমানা হয় মানিকের। তাঁর দাবি ৮ বছরেও পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলকারীর বক্তব্য, ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের টেটেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। অর্থাৎ তিনি বঞ্চিত হয়েছেন।
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই সকলে বঞ্চিত হয়েছেন। এরপরই মানিককে জরিমানা করে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ দিতে হবে।