গোবিন্দ রায়: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকশো কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নেই কাঁটাতারের বেড়া (ফেন্সিং)। অবিলম্বে সেখানে কাঁটাতার বসানোর আবেদনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলায় দাবি করা হয়, জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের তৎপরতা না থাকায় ফেন্সিংয়ের কাজ হচ্ছে না। এনিয়ে এবার রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
সীমান্তে কাঁটাতার সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় দাবি, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা ২২১৬ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। তার ফলে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান চলছে অবাধে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্য তৎপর নয়, ফলে সেখানে ফেন্সিং হচ্ছে না। কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তীও জানান, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। তাই কাঁটাতার বসানোর কাজ আটকে রয়েছে।
মামলাকারী ডঃ সুব্রত সাহার বক্তব্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যা পরিস্থিতি, তা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেনা আধিকারিক হিসাবে কাজ করছেন এবং এই পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বিগ্ন। তাঁর আরও দাবি, ২০১৬ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে লাগাতার মাদক, গরু, সোনা, জাল নোট পাচার চলছে। এখনও বেআইনি কার্যকলাপ অব্যাহত। রাজ্যের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় গড়িমসির জন্য দীর্ঘ ২,২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ফেন্সিং দেওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করতে সম্মত থাকলেও রাজ্যের তৎপরতার অভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারী। তাই বাধ্য হয়ে তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তা গুরুত্ব সহকারে দেখে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছে।
