রাহুল রায়: স্কুল সার্ভিস কমিশন, প্রাথমিক টেটের পর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ। উত্তরপত্র বিকৃত করার অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের চাকরিপ্রার্থীর। কেন্দ্রীয় ফরেনসিককে দিয়ে উত্তরপত্র পরীক্ষা করার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। CFSL-র ডিরেক্টরকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাই কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ওই বছর ১১ আগস্ট ফলপ্রকাশ হয়। তথ্য জানার অধিকার আইন (আরটিআই)-এ পরীক্ষার ওএমআর সিট দেখতে চান মামলাকারী। তাঁর দাবি, একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল দেখানো হয়েছে। অথচ তিনি ওই উত্তরই দেননি। এই মর্মেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা হয়। মামলাকারী কালো কালির কলমে পরীক্ষা দিয়েছেন তা আদালতের কাছে তুলে ধরেন।
[আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডল নয়, পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা এলাকার সংগঠনের ভার স্থানীয় নেতৃত্বেরই]
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।” এরপরই উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির (CFSL) ডিরেক্টর এবং ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি আরও জানান, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ওএমআর সিট খতিয়ে দেখবে। পরীক্ষার্থীর কলমের কালির সঙ্গে ওএমআর সিটের কালি মিলিয়ে দেখা হবে। এছাড়া দেখতে হবে উত্তরপত্রে একই চাপ প্রয়োগ করে লেখা হয়েছে কিনা। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে CFSL-কে ওএমআর সিট, পরীক্ষার্থীর পেন পাঠাতে হবে। এদিনই পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সচিবকে ওএমআর সিট এবং পেন হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। CFSL-এর ডিরেক্টরকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাই কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি এবং টেট নিয়োগ ‘দুর্নীতি‘র জলও কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি’র জালে ধরা পড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার হাই কোর্টের নজরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।