শুভঙ্কর বসু: ‘অনুদান’ বিষয়টি দাতার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। কোনও ব্যক্তির বেতন থেকে জোর করে অনুদান হিসেবেও কোনও অর্থ কেটে নেওয়া বেআইনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
[আরও পড়ুন: খুলি ফাঁক করে জটিল Operation, নাক দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে বেরল মাথায় আটকে থাকা সূঁচ]
উদ্দেশ্য ভাল হলেও লক্ষ্যে পৌঁছতে একতরফা ভাবে এ নিয়ে কখনওই জোর করা যায় না। তা ছাড়া অনুদানের নামে কারও আইনি অধিকারও কেড়ে নেওয়া উচিত নয়। এছাড়াও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি রায়ের বলেছেন, “একতরফা ভাবে এই সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর রাবীন্দ্রিক সংস্কৃতি ও কবিগুরুর ঐতিহ্যেরও পরিপন্থী।” যদিও ওই কেটে নেওয়া অর্থ মামলাকারীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি উচ্চ আদালত। আদালতের যুক্তি, যে হেতু টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা পড়ে গিয়েছে, তাই সেখান থেকে তা ফেরত আনা যায় না। ফলে বেআইনি হলেও গ্রহীতা ওই অর্থ ফেরত পাবেন না। যদিও দান- অনুদানের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে কিছুটা ধন্দে পড়েন বিচারপতি সিনহা। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, দান এবং অনুদানের মধ্যে কোনটি স্বেচ্ছায় নেওয়া হয়। কিন্তু শেষে দেখা যায় দান এবং অনুদানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। স্বেচ্ছায় যা দেওয়া হয় তাকেই দান বা অনুদান বলা হয়।