গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যের অন্যতম এক শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার মৃত্যু। সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার গভীর রাতে মারা যান সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর অন্যান্য নানা শারীরিক সমস্যা ছিল। তাই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু নাকি অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্রভাণ্ডার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর। কারণ, সেখানেই মজুত থাকে পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ করোনা মোকাবিলার যাবতীয় সরঞ্জাম। এখান থেকেই বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল স্টোরে পৌঁছে যায় এই সমস্ত সামগ্রী। আর এই অস্ত্রভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা অন্যতম শীর্ষকর্তা বেশ কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হন তিনি। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রথমে ভরতি করা হয় তাঁকে। তারপর সেখান থেকে গত ১৮ এপ্রিল তাঁকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রথম থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর ছিল। তাই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে শুভেচ্ছা না জানিয়ে গরিবকে সাহায্য করুন’, জন্মদিনের আগে বার্তা কৈলাসের]
সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রায় সপ্তাহখানেক পর শনিবার রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ মারা যান ওই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা। জানা গিয়েছে, ওই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা সুগার এবং হাইপারটেনশনের রোগী ছিলেন। কয়েক মাস আগে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারও হয়। তাই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার সৎকার করা হবে। জানা গিয়েছে, বেহালার হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই স্বাস্থ্যকর্তার স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনিও সল্টলেকের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। শোনা গিয়েছে, অসুস্থতার একেবারে শুরুতে স্থানীয় যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্তা তিনিও করোনা আক্রান্ত। শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: করোনার অজুহাতে সাধারণকে জরুরি মামলা বলে চালানোর চেষ্টা, জরিমানা হাই কোর্টে
The post করোনা সংক্রমিত রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার মৃত্যু, স্ত্রীর শরীরেও মিলল ভাইরাস appeared first on Sangbad Pratidin.