সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও দগদগে আমফানের ক্ষত। এর মধ্যেই বুধবার আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ অথবা ‘যশ’। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের মাঝে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কি বিদ্যুৎ বিপর্যয় হতে পারে? পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করছে CESC? তা নিয়ে সোমবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করল বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি। বিপর্যয় ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানালেন ডিস্ট্রিবিউশনের ভিপি অভিজিৎ ঘোষ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিৎ ঘোষ জানান, ঝড়ের সময় শহর ও শহরতলির বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হতে পারে। স্ট্রমার ফিডার অর্থাৎ যে সমস্ত এলাকায় যে সময় ঝোড়ো হাওয়া বইবে সেখানে বন্ধ থাকতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিশেষ করে শহর ও শহরতলির যাদবপুর, মানিকতলা, বেলেঘাটা-সহ যেসমস্ত এলাকায় ওভারহেড তার রয়েছে, সেথানে প্রয়োজনে বন্ধ রাখা হতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা। এছাড়া রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন কিংবা পুলিশের তরফে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ এলে সেই অনুযায়ী কাজ করবে CESC। ঝড়ের সময় দুর্ঘটনা এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমফানের থেকেও বড় ঝড় হতে চলেছে’, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নিয়ে সাবধানবাণী মুখ্যমন্ত্রীর]
আমফানের সময় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে জায়গায়-জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছিল। হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার সেই বিড়ম্বনা এড়াতে কোমর বেঁধেছে CESC। এ প্রসঙ্গে ডিস্ট্রিবিউশনের ভিপি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল-৩৫০১১৯১২/১৮৬০৫০০১৯১২/১৯১২। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে। যেখানে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন গ্রাহকরা। নম্বরটি হল-৭৪৩৯০০১৯১২।
গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে সিইএসসি। তাই এবার পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত বাহিনী নামাচ্ছে সংস্থা। সংস্থার পদস্থ অধিকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই হাজার কর্মী রাস্তায় নামবে।বিদ্যুৎ না থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেড় হাজারেরও বেশি জেনারেটরও ভাড়া করেছে CESC।