ধীমান রক্ষিত: ওয়েবকুপা অর্থাৎ তৃণমূলপন্থী শিক্ষক-অধ্যাপক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা চলাকালীন সকাল থেকেই অশান্তির পরিবেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুপুর গড়িয়ে সভা শুরু হতেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে যেন আগুনে ঘি পড়ল! অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ভাষণ চলাকালীন পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েন বাম-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। চেয়ার ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। প্রেক্ষগৃহের এমন ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপকদের কেউ কেউ। তা দেখে ব্রাত্য বসুও সরাসরি বাম ছাত্র সংগঠনকে লক্ষ্য করে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। সবমিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভা ঘিরে রণক্ষেত্র অবস্থা।

অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন চাই, আজকের সভায় শিক্ষামন্ত্রী সেই ঘোষণা করুন - এই দাবি তুলে শনিবার সকাল থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন স্লোগান দিচ্ছিল। ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার এই সভায় আমন্ত্রিত বলে তাঁকে নিয়েও নানা পোস্টার তৈরি হয়। মানববন্ধন করে স্লোগান দিতে শুরু করে বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা। ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তার ফলে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এরপর দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ওয়েবকুপার সভা শুরু হয়। বক্তব্য রাখতে ওঠেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ, সেসময় এসএফআই-এর একদল সমর্থক সেখানে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। বাধা দেওয়া হয় ব্রাত্যর ভাষণে। বারবার দাবি ওঠে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই। তার দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে। এসব শুনেও অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী নিজের বক্তব্য থামাননি। উলটে মঞ্চ থেকেই প্রশ্ন তোলেন, ''যারা এসব করছে, তারা কারা? তারা যে মতাদর্শের কথা বলে, সেই মতাদর্শ বিজেপিকে ঠেকাতে কী করেছে? শিক্ষায় গৈরিকীকরণ রুখতেই বা তাদের কী ভূমিকা?'' দ্রুত নিজের বক্তব্য শেষ করে অধ্যাপকদের নিয়ে তিনি আলাদা করে বৈঠকে বসেন বলে খবর।