অর্ণব আইচ: ফের কলকাতায় চিটফান্ড (Chitfund) প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি। বালিগঞ্জ এলাকা থেকে ডিরেক্টর অফ ইকনমিক অফেন্স বা DEO’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন শান্তি সুরানা নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা তছরুপের মামলার তদন্ত করছিল ইডি (ED)। অবশেষে তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়ে প্রতারক। যাঁরা না বুঝে স্রেফ শান্তি সুরানার কথায় লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তা ফেরত পাওয়ার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন, তাঁরা এখন কার্যত অসহায়। এত বড় আর্থিক ক্ষতি কীভাবে পূরণ করবেন, সেই চিন্তায় আকুল।
সূত্রের খবর, চিটফান্ডের নামে আর্থিক প্রতারণায় শান্তি সুরানার প্রাথমিক টার্গেট ছিলেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বালিগঞ্জ (Ballygunge)-সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি ধনী এলাকার বয়স্কদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলেছিলেন। রিয়েল এস্টেট-সহ নিজের ২০ টি সংস্থা আছে, এমনই জানিয়েছিলেন সবাইকে। তাঁকে ভরসা করে কেউ ২৫ লক্ষ টাকা, কেউ বা ১০ কোটি টাকা লগ্নি করেছিলেন। আশা ছিল, তা সুদে-আসলে ফেরত পাবেন। কিন্তু প্রতারিত হচ্ছেন, তা বোঝামাত্রই এক লগ্নিকারী তপসিয়া থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।
[আরও পডুন: জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে ঢুকতে বাধা, বিভ্রান্ত করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে]
জানা গিয়েছে, প্রায় দু’ হাজার কোটি টাকা এভাবে আত্মসাৎ করেছিলেন শান্তি সুরানা। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তারপর থেকেই চিটফান্ডের নামে টাকা তোলার কাজ স্থগিত করে দেন। ইডির পর সিবিআই-ও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। শেষমেশ বালিগঞ্জ থেকে সুরানাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান ডিইও-র আধিকারিকরা। দ্রুত তাকে আদালতে পেশ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পডুন: ‘গান্ধীজি উস্কানিমূলক কথা বলতে শিখিয়েছিলেন?’ উমর খালিদকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, বছর দশেক আগে সারদা-সহ একাধিক চিটফান্ড সংস্থার হদিশ মেলে কলকাতায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের গ্রেপ্তার করা হয় কর্ণধার-সহ এই ব্যবসায় যুক্ত অনেককেই। তাদের অনেকেই এখনও জেলবন্দি। কেউ আবার জামিনে মুক্ত। চিটফান্ড নিয়ে এখনও ইডি, সিবিআই তদন্ত করছে। আর তারই অংশ হিসেবে শান্তি সুরানার গ্রেপ্তারি বলে মনে করা হচ্ছে।