গৌতম ব্রহ্ম: ৪১ শতাংশ নয়, করের টাকা আধাআধি ভাগ চাই। মঙ্গলবার নবান্নে অর্থ কমিশনের বৈঠকে এমনই দাবি তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের করের অর্থের ৪১ শতাংশ পায় রাজ্য। এই হার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশের দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বিরোধীরাও ৫০ শতাংশের দাবি তুলেছেন বলে খবর। এদিন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্থ কমিশনে প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানান, বেশিরভাগ রাজ্যই করের অর্থের ৫০ শতাংশ চেয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এদিন কেন্দ্রের বকেয়া নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেই বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছন দিল্লি থেকে আসা প্রতিনিধিরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন ১২ জন মন্ত্রী। বিকেলে আবার রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থ কমিশন।ছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, বিজেপির শংকর ঘোষ। তাঁরাও করের অর্থের ৪১ শতাংশের বদলে ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত ১৩ টি রাজ্যে তাঁরা গিয়েছেন, সকলেই কমবেশি এই দাবি তুলেছে। এই সবই তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন।
নবান্নে অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও ১২ ক্যাবিনেট মন্ত্রী। নিজস্ব ছবি।
এদিনের বৈঠকে অর্থ কমিশনের কাছেও মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন। জানান, বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় বকেয়া মিলছে না। সেই টাকা পেলে সামাজিক প্রকল্পগুলি ভালোভাবে করা যাবে। কিন্তু এনিয়ে অর্থ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা শুধুমাত্র করের অর্থের বিষয়টি দেখভাল করেন। কেন্দ্রীয় বকেয়া বা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত টাকা রাজ্যকে দেওয়া তাঁদের আওতাভুক্ত নয়। তবে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের এই বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দেন প্রতিনিধিরা। পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্র অর্থ কমিশন যে টাকা বরাদ্দ করেছে, তার মধ্যে এবার নগরায়নে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া ভাঙন, ধস কবলিত এলাকাগুলিতে বেশি টাকা দেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সবই বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রতিনিধিরা।