সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিলোত্তমার মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। দেশের মধ্যে সেরা বিজ্ঞান নগরী হিসাবে গণ্য হয়েছে কলকাতা। বাংলার ঐতিহ্যশালী বিজ্ঞান গবেষণা ও পঠনপাঠনের জন্য কলকাতা বিজ্ঞান নগরী হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। বিখ্যাত ‘নেচার’ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছে।
নেচার ইনডেক্সে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্বে কলকাতা অধিগ্রহণ করে রয়েছে ৮৪তম স্থান। কিন্তু ভারতের মধ্যে অর্থাৎ দেশে শীর্ষস্থান দখল করেছে কলকাতা। বিশ্বের বিভিন্ন শহর থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের গুণমান এবং সংখ্যার ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করেছে নেচার ইনডেক্স। বলার বিজ্ঞান গবেষণার কাজে এই শিরোপা রাজ্যের কাছে বড়সড় স্বীকৃতি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমাগত প্রেরণা ও কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসাবে বাংলা এই সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা দেখাল। জয় বাংলা, জয় বিজ্ঞান।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ও পঠনপাঠন এবং গবেষণার কাজে যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে স্থান করে নিয়েছে। ঐতিহ্যশালী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার ল্যাবরেটরিতে বহু নামী গবেষক কাজ করে গেছেন। বসু বিজ্ঞান মন্দির, মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউটে একাধিক গবেষণাপত্র বিশ্বের নামী জার্নালগুলিতে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার হার তুলনামূলকভাবে অন্যান্য রাজ্য থেকে এগিয়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাতে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ বেড়েছে এবং সেই সঙ্গে বেড়েছে পঠনপাঠনের মানও। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিজ্ঞানের ‘ট্যালেন্ট সার্চ’ প্রোগ্রামটি বেশ জনপ্রিয়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রতি বছর এই উদ্যোগ নেয় সরকার। এছাড়াও মেধাবীদের জন্য বেশ কয়েকটি স্কলারশিপ চালু রয়েছে রাজ্যে। ঐতিহ্যশালী কলকাতা তাই আজও শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান নগরী।