ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন ইস্যুতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। এ ব্যাপারে আলাদাভাবে কোনও অবস্থান নিচ্ছে না বাংলার শাসকদল। বরং কেন্দ্রের পাশে থেকে সহযোগিতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই বিবৃতি দিলেন তিনি। মমতার কথায়, ''আমার সরকারের নীতি হল, অন্য দেশের ব্যাপার হলে আমরা কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে থাকব। যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। অন্য দেশেও (বাংলাদেশ) যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করা হয়, তাহলে আমরা সেটাকেও সমর্থন করিনি। আমি এখানকার ইসকনের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি।'' তাঁর গলায় উদ্বেগের সুর স্পষ্ট।
বদলের বাংলাদেশে এখন তীব্র অরাজক পরিস্থিতি। হাসিনা বিদায়ের পর থেকেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা নানাভাবে কোণঠাসা হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় তাদের উপর নির্যাতন মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে সনাতন হিন্দু সন্ন্যাসীদের উপর জারি হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস তথা চিন্ময় প্রভুর পর চট্টগ্রাম থেকে সনাতন ধর্মের আরেক সন্ন্যাসী স্বরূপ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় হিন্দুদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
এনিয়ে বুধবার দিল্লিতে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাকেই সমর্থন করবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনে সেটাই জানিয়ে দিলেন দলের সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। বললেন, কখনও কোনও দেশে কোনও ধর্মের উপর আঘাত মেনে নেওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে আলাদা করে কিছু পদক্ষেপ করার নেই, কেন্দ্র যে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে, দলীয় নীতি মেনে তা সমর্থন করবে বাংলার শাসকদল।