স্টাফ রিপোর্টার: কাজের দিন গেট আটকে স্লোগান, জমায়েত, অবরোধ, হট্টগোলের অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিধাননগর কমিশনারেটে চিঠি দিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে কাউন্সিলে। তা মীমাংসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। রোগী-রোগীর পরিজনদের ভাগ্য নির্ধারিত হয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে। অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরে কাজের দিন গেট আটকে স্লোগান, হট্টগোল, অবরোধ চলছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে। ফলে রোগী স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব পালনে বাধা পেতে হয় কাউন্সিলকে।
সূত্রের খবর, এই অব্যবস্থা আটকাতেই বিধাননগর কমিশনারেটে চিঠি দিয়েছেন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডা. মানস চক্রবর্তী। সংবাদ প্রতিদিনকে ফোনে তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেকটা বৈঠকের আগেই কয়েকজন চিকিৎসক দল বেঁধে এসে সমাবেশ করে গেট আটকে চিৎকার করছেন। এতে বৈঠক শুরু করতে অসুবিধা হচ্ছে। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে এই চত্ত্বরে। সেই কারণেই বিধাননগর কমিশনারেটে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডা. মানস চক্রবর্তীর কথায় বিরক্তি স্পষ্ট। তাঁর বক্তব্য, "কাজের দিনে দলবেঁধে এসে হইচই, অশান্তি, এমনকি একবার সারা রাত ঘেরাও করে বসেছিল। নিরাপত্তার কারণেই আমরা চিঠি দিয়েছি পুলিশকে।"
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফের বৈঠক রয়েছে। সূত্রের খবর, এই চার চিকিৎসকের তালিকায় রয়েছেন ডা. মানস গুমটা, ডা. উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. সুবর্ণ গোস্বামী, ডা. রঞ্জন ভট্টাচার্য্য। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের মধ্যে ডা. উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এই খবর পেয়েছি। আমাদের কাছে কোনও কাগজ আসেনি। এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য ডা. কৌশিক বিশ্বাসের কথায়, বিগত কয়েক মাস ধরে দেখছি কতিপয় অতিবাম চিকিৎসকরা মিলে একটা অশান্তি তৈরি করতে চেষ্টা করছেন। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সার্বিক কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের নামে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
