দীপঙ্কর মণ্ডল: বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ বহু পুরনো। ভোটের মুখে আরও একবার সেই অভিযোগ উঠল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কলকাতার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে (Indian Association for the Cultivation of Science) জারি হওয়া এক নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অফিসের কাজে হিন্দি ভাষা ব্যবহারের অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক দানা বেধেছে।
১৯ মার্চ কেন্দ্রের তরফে কলকাতার ওই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চিঠি লিখতে হবে হিন্দিতে (Hindi)। অফিসের কাজকর্ম থেকে ফাইলে সই করতে হবে হিন্দিতে। কেন কেন্দ্রের নির্দেশ পালন করছে না কলকাতার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান, তা নিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর পরই কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে হিন্দি মাধ্যমে কাজকর্মে সায় কলকাতার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্দরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : দোল এবং হোলিতে সীমিত পাতালরেল পরিষেবা, বদলাচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি]
সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে:
- প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চিঠিপত্রের ৫৫ শতাংশই হিন্দিতে লিখতে হবে।
- হিন্দিতে লেখা কোনও চিঠি পেলে, তার উত্তরও সে ভাষাতেই দিতে হবে।
- ফাইলপত্রে নোট নিলে, তার ৩৩ শতাংশ করতে হবে হিন্দিতে।
- প্রতিষ্ঠানের সমস্ত ফাইলের নাম হিন্দি এবং ইংরেজিতে থাকবে।
- ফাইলে প্রথমে হিন্দিতে, তার পর ইংরেজিতে সে নাম লিখতে হবে।
- সার্ভিস বুকে যা এন্ট্রি করা হবে, তার পুরোটাও হবে হিন্দিতে। প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে সইসাবুদও ওই ভাষাতেই করা বাধ্যতামূলক।
প্রতিটি বিভাগকে আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে এবং প্রতি অর্থবর্ষের শেষে এ বিষয়টি নিয়ে হিন্দি সেল-কে রিপোর্ট দেবে। গোটা বিষয়টিতে নজর রাখতে ওই প্রতিষ্ঠানে এক জন হিন্দি বিষয়ক আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত কারা? জানতে ফের বাড়ি-বাড়ি যাবেন আশাকর্মীরা]