রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayet Election) আগেই বিরোধীদের সাগরদিঘি মডেল বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। উপনির্বাচনে জেতার তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দিয়েছেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bairon Biswas)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নের কাজে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়ে বায়রন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
আর এরপরই সিপিএমের (CPM) অন্দরেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল পার্টির রাজ্য কমিটির বৈঠকেই। বায়রন বিশ্বাসের দলবদলের পর আগামী দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কোনও লাভ হবে কি না, তা নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে বলে বুধবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বীকার করলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)। এদিন অলিমুদ্দিনে বৈঠকের প্রথম দিনে ভাষণের শুরুতেই সেলিম বলেন, “বায়রন বিশ্বাসের দলবদলের পর পার্টির অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন বা আলোচনা করছেন, এর পরে তাহলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কি লাভ। যদি বিধায়ক দল ছেড়ে দেয়।”
[আরও পড়ুন: ভাষা নিয়ে পাকিস্তানকে খোঁচা! নাসিরুদ্দিনকে একহাত নিলেন পাক অভিনেত্রী মানসা পাশা]
এরপরই অবশ্য সেলিম স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, জোট প্রক্রিয়া চলবে। তিনি বলেন, “ব্যক্তি বায়রন চলে গেছে বলে জোটের সিদ্ধান্ত ভুল এটা মনে করার কারণ নেই।” কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে বলেই বার্তা দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, “সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট করে জিতেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের আসন সমঝোতার রাজনৈতিক প্রয়োজন খারিজ হবে না।” রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সাগরদিঘি মডেল ধাক্কা খাওয়ার পর পার্টির নিচুতলার নেতা-কর্মীরা জোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ফলে সেটা সামাল দিয়ে রাজ্য কমিটির তরফে সেলিম এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই এগোবে বামেরা।