রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জনসমর্থন কমতে কমতে শূন্য হয়েছে আগেই। আদর্শ আঁকড়ে যাঁরা ছিলেন, তেমন মানুষের সংখ্যা কমছে ধীরে ধীরে। তরুণ প্রজন্ম তৈরি বটে, তবে ভোট ময়দানে কিংবা জনতার দরবারে এখনও বড় কোনও সাফল্য নেই। তাতে কী? কোনও কিছুতে থেমে না দিয়ে নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই বড় কথা। সেইমতো নতুন বছরে সিপিএমের চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হল। এনিয়ে রাজ্য সংগঠনে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি বলেই খবর।
আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, নতুন বছরে মার্চ বা এপ্রিলে ব্রিগেড সমাবেশ ডাকতে পারে সিপিএম। প্রাথমিকভাবে এই বিষয়ে একটা আলোচনা হয়েছে বলে রাজ্য সিপিএম সূত্রে খবর। পার্টির সিটু, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনকে এই সমাবেশের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে জানুয়ারিতে শেষবার ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল সিপিএমের যুব সংগঠন। মীনাক্ষী, সৃজন, প্রতীকুরদের সেই সমাবেশ সাড়া ফেললেও চব্বিশের ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন পড়েনি। যুব প্রজন্মের যে নেতারা ভোটে লড়েছিলেন, তাঁরা কেউ জামানত বাঁচাতে পারেননি।
২০২৬-এ আবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে কলকাতা-সহ একাধিক পুরনিগমের ভোট। তরুণ ও অভিজ্ঞ সদস্যদের নিয়ে তাতে ঝাঁপাতে প্রস্তুত আলিমুদ্দিন। তারই অংশ হিসেবে নতুন বছর ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শোনা যাচ্ছে, মার্চ-এপ্রিলে হতে পারে সমাবেশ। দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। গতবারের আয়োজক যেমন ছিলেন দলের ছাত্র-যুবরা, তেমনই আগামী সমাবেশের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সিপিএমের কৃষক, খেতমজুর, সিটু সংগঠনের উপর। এনিয়ে একদফা আলোচনা হয়েছে দলের অন্দরে। তবে প্রশ্ন একটাই, ব্রিগেডের মাঠ ভরানো জনতা কি সিপিএমের ভোটবাক্স আদৌ ভরাতে পারবে ছাব্বিশের নির্বাচনে?