ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বদলাচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue) সংক্রমণের উপসর্গ। প্লেটলেট নেমে আসা নয়, ফুসফুস, লিভারে জল জমা-সহ কোভিডের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে। আর তা নিয়েই চিন্তিত স্বাস্থ্যমহল। তবে কি কোভিড (COVID-19) থেকে মুক্ত হওয়ার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় হানা দিচ্ছে ডেঙ্গু? এই উদ্বেগের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁরা বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID Hospital) হাসপাতালেই প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন।
শীত (Winter) আগমনের শুরুতে ডেঙ্গু দাপট দেখানো শুরু করেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত একমাসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ, সম্প্রতি যাঁরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের লিভার, ফুসফুসে জল জমছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গে প্রভাব ফেলছে। প্লেটলেট কাউন্ট ঠিক থাকায় মাঝেমধ্যেই ডেঙ্গু বলে বোঝা যাচ্ছে না। সোমবার যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের একজনকে একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর শেষ মুহূর্তে ডেঙ্গু চিহ্নিত হওয়ায় চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ‘অখিল অন্যায় করেছে, দলের তরফে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি’, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী]
এই পরিস্থিতি কী করণীয়, তাও বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বলা হচ্ছে, এই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে প্রচুর জল খান। শুধু জল নয়, যে কোনও ধরনের তরল খাদ্য খেলেই কাবু হবে ডেঙ্গু। সাধারণভাবে যত পরিমাণ জল খাওয়া হয়, তার চেয়ে অন্তত ১লিটার বেশি জল খান প্রতিদিন। খেতে হবে সুষম খাদ্য। জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জ্বর না কমলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভরতি হতে হবে। এসব মেনে চললেই দ্রুত ডেঙ্গু প্রতিরোধ করে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
[আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
এদিন মুখ্যমন্ত্রীও ডেঙ্গু সচেতনতার বার্তা দিতে গিয়ে বলেছেন, এখন পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়েছে। আগের তুলনায় কমেছে আক্রান্ত। তবে পুরোপুরি শীতের ইনিংস শুরু হলে তা কমে যাবে।