অর্ণব আইচ: করোনার (Corona Vaccine) টিকার নামে অ্যামিকাসিন ইঞ্জেকশন (Amikacin injection) দিয়েছিল ভুয়ো আমলা দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb), লালবাজারকে রিপোর্ট দিল ড্রাগ কন্ট্রোল। বৃহস্পতিবারই পুনের Serum Institute পুলিশকে জানিয়েছিল, যে টিকা দেওয়া হয়েছিল তা কোভিশিল্ড নয়। তার লেবেলটিও জাল।
ড্রাগ কন্ট্রোল রিপোর্ট পাঠিয়ে পুলিশকে জানিয়েছে, পরীক্ষার জন্য যে ভায়ালগুলি পাঠানো হয়েছে, তাতে অ্যামিকাসিন পাওয়া গিয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের রিপোর্ট হাতে আসার পর পুলিশ নিশ্চিত হল যে, দেবাঞ্জন দেব জাল টিকা দিয়েছিল। এদিকে, কসবায় ভুয়ো টিকাকরণের অন্য একটি মামলায় ফের দেবাঞ্জন দেবকে পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, দেবাঞ্জন দেব ও তার সঙ্গীরা কসবায় (Kasba) একাধিক ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল। এ ছাড়াও আমহার্স্ট্র স্ট্রিটের সিটি কলেজেও ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল তাঁরা। দেবাঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল একটি মাইক্রোফিনান্স কোম্পানির। ওই বেসরকারি সংস্থাটির ১৭২ জন কর্মীকে ভুয়ো টিকা দিয়েছিল দেবাঞ্জন। তার বদলে ওই সংস্থাটির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিল ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। এই ব্যাপারে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে মধ্যহ্নভোজে Anubrata-Parambrata, তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন অভিনেতা? তুঙ্গে জল্পনা]
ওই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ দেবাঞ্জন ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে। কার মাধ্যমে ওই সংস্থাটির সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগাযোগ হয়, কেন সে টাকার বিনিময়ে ভুয়া টিকা দিয়েছিল, এই তথ্য জানতে লালবাজারের ‘সিট’এর তদন্তের প্রয়োজন। সেই কারণেই শুক্রবার দেবাঞ্জন দেব, তার তিন সঙ্গী নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য, দুই ছায়াসঙ্গী শান্তনু মান্না ও কাঞ্চন দেবকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তদন্তের জন্য অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। দেবাঞ্জন ও তার তিন সঙ্গীকে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। দেবাঞ্জন ও তার সঙ্গীদের নিয়ে ফের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।