অর্ণব আইচ: রাজ্য থেকে একের পর এক জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। কখনও কাশ্মীরি জেহাদি তো কখনও আনসারুল্লার সদস্য। যা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সেই সমস্ত প্রশ্নের সপাট জবাব দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
তিনি বলেন, "রাজ্য এসটিএফের গোপন খবরের ভিত্তিতে জাভেদ মুন্সি গ্রেপ্তার হয়েছিল। অনেকে দেখানোর চেষ্টা করছে, জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আর আমরা কিছু করছি না, এটা ভুল। আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড খুবই ভালো।" উল্লেখ্য, ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে গ্রেপ্তার হয় ভিন রাজ্য়ের সন্দেহভাজন জঙ্গি জাভেদ মুন্সি। জম্মু-কাশ্মীর ও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে শ্রীনগরের বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সীমান্তে ওপারে অশান্ত পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় এ দেশে সন্ত্রাসের জাল বোনার চেষ্টা চলছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢোকার চেষ্টা করছে জেহাদিরা। সূত্রের দাবি, বহু অনুপ্রবেশকারী কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে। এমন অবস্থায় রাজ্যের বহিরাগতদের দিকে নজর রাখছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে এদিন রাজীব কুমার বলেন, "সীমান্তের নিরাপত্তা দেখভাল করে বিএসএফ। আমরা যা খবর পাই, তা সীমান্তরক্ষা বাহিনীকে দিই। এর মাঝেও অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে। তাতে বোঝা যায় নিরাপত্তায় ফাঁকফোকর রয়েছে।"
রাজ্য পুলিশ ডিজি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ পুলিশকে সাহায্য় করেছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এপারের বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে এদিন রাজীব কুমার বলেন, "কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে নষ্ট না করতে পারে সেদিকে দেখা হচ্ছে। যতটা সম্ভব নিরাপত্তাও দেওয়া হচ্ছে।"