সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের নামে চলছে 'ব্যবসা'! লাগাতার আর্থিক তছরুপ- প্রতারণার অভিযোগ। এমনকী দেবীর পছন্দের নামে ভক্তদের গয়না হাতানোর অভিযোগও রয়েছে! উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটের ভাইরাল শ্যামাসুন্দরী মন্দির নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছিল। সেই খবর পেয়ে বুধবার মন্দির চত্বরে হাজির হন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর কুণাল ঘোষের আরজি, মা কালীকে ভক্তি করুন। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস রাখুন। কিন্তু মন্দিরের নামে ব্যবসার ফাঁদে পা দেবেন না।
সুকিয়া স্ট্রিটের শ্যামাসুন্দরী মন্দির সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রতিদিন বহু ভক্ত সমাগম হয় মন্দিরে। ভাইরাল ভিডিও-তে দাবি করা হয়, দেবী রাতের বেলা মন্দিরের মাথায় হেঁটে বেড়ান। নাচ করেন। তাঁর নূপুরের শব্দ মন্দিরের পুরোহিত শুনতে পান। ভক্তরা চকোলেট, টেডি বিয়ার দিয়ে দেবীর পুজো দেন। অভিযোগ, একাধিক পুণ্যার্থীকে পুরোহিত নাকি বলেছিলেন তাঁর গয়না দেবীর পছন্দ হয়েছে। সেই গয়না নাকি মন্দিরের জন্য নিয়েও নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। মন্দিরের নামে ভক্তদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ২৮ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। অথচ মন্দিরের কোনও ট্রাস্ট নেই। এমনকী, মন্দির চত্বরে এমন পরিস্থিতি থাকে যে অগ্নিকাণ্ড হলে দমকল ঢুকতে পারবে না। মন্দির চত্বরের ভোগ, প্রসাদের থালা ছড়িয়ে থাকছে, যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে।
এ সমস্ত অভিযোগ পেয়ে এদিন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী সুকিয়া স্ট্রিটে হাজির হন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই তিনি জানান, "ওসি সাহেব মন্দিরের কথা বলে জানতে পারেন কোনও স্ট্রাস্ট নেই। বৈধ কিছু দেখাতে পারেনি তারা। মন্দিরের নামে ব্যবসা চলছে। এই ব্যবসায় পা দেবেন না।" সঙ্গে কুণাল ঘোষের সংযোজন, "মা কালীকে ভক্তি করুন। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস রাখুন। দেবীকে পুজো দিতে হলে দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাটে যান। ব্যবসায় পা দেবেন না।"