অর্ণব আইচ: মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ। ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও গাড়িচালক। তবে ভবানীপুর থানার (Bhabanipur PS) পুলিশের তৎপরতায় অধিকাংশ টাকাই উদ্ধার হয়েছে। পঞ্চাশ লক্ষের মধ্যে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকাই ফিরে পাওয়া গিয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে গাড়িচালক। এই ঘটনায় প্রশংসিত পুলিশ। বিষয়টি টুইট করে জানানো হয়েছে ডিসি সাউথের (DC, South)তরফে।
গত ৮ তারিখ ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রভাসচন্দ্র পতি নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ ছিল, গাড়িচালক অলোক দাস তাঁর থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এলগিন রোডের একটি পোস্ট অফিসের সামনে থেকে তাঁর টাকা ছিনতাই হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তারপরই ধরা পড়ে চালকরূপী ‘চোর’। খড়দহের একটি গাড়ি থেকে খড়দহ থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে অলোক দাসকে গ্রেপ্তার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। এই অপারেশনে ভবানীপুর থানার এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের নজরে গোয়া, সংগঠন বাড়াতে চলতি মাসেই সফরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অলোক দাস ৫০ লক্ষ টাকা চুরির কথা স্বীকার করে তার পক্ষে সাফাইও দিয়েছে। তার দাবি, মালিক প্রভাসচন্দ্র পতি অত্যন্ত বিলাসবহু জীবনযাপন করেন। অথচ তার বেতন বাড়ানো হয়নি, উলটে তাকে দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করানো, রাতভর কাজ করানো হয়। এসব নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে পড়ে অলোক। তার বিরক্তি, ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আর সেই কারণেই মালিকের ৫০ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেয় সে। সেই টাকা থেকে কি কিছু খরচও করেছে গাড়িচালক? কারণ, তার কাছ থেকে সাড়ে ৪৩ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাহলে বাকি টাকা কোথায়? এ বিষয় এখনও মুখ খোলেনি ধৃত। বাকি টাকা উদ্ধারের তল্লাশিতে নেমেছেন তদন্তকারীরা।