shono
Advertisement

গার্ডেনরিচের আমির খানের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ, ‘ফ্রিজ’৪৮ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি

জালিয়াতি করে হাতানো কোটি কোটি টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিবর্তন করে আমির।
Posted: 09:15 AM Oct 01, 2022Updated: 09:15 AM Oct 01, 2022

অর্ণব আইচ: গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের (Amir Khan) প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ই ওয়ালেটের মাধ্যমে আমিরের ই-নাগেটস আর অন্য গেমিং ও ডেটিং সাইট থেকে জালিয়াতি করে হাতানো কোটি কোটি টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিবর্তন করা হয়। সেই সূত্র ধরেই আমিরের আরও টাকার হদিশ পায় ইডি।

Advertisement

সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রাখা তার ৪৭ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা ‘ফ্রিজ’ করা হয় বলে জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এর আগেও ইডি তার ৭০ কোটি টাকার হদিশ পায়। তার বাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ছাড়াও ১২ কোটি টাকার উপর ক্রিপ্টোকারেন্সি আটক করে। এবার তার টাকা ফ্রিজ করা হয়। এর বাইরেও আমিরের টাকা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির হদিশ জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি।

[আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন বিকাশ মিশ্রর, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]

উল্লেখ্য, সপ্তাহদুয়েক আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গার্ডেনরিচের সিজিআর রোডে ব‌্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে থাকা পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গাজিয়াবাদ থেকে লালবাজারের গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, বিদেশে পড়াশোনা করেছিল সে। সেখান থেকেই গেমিং অ‌্যাপের মাধ‌্যমে প্রতারণার বিষয়টি সে জানতে পারে। মধ‌্য প্রাচ্যের ওই দুই দেশে তার কয়েকজন আত্মীয় আছেন। আমির নিজেও হাওলার কারবারের সঙ্গে জড়িত। সেই সূত্র ধরে প্রথম দিকে প্রতারণা ও জালিয়াতির বিপুল টাকা হাওলায় পাঠাত বিদেশে।

কিন্তু ওই ব‌্যাপারে ইডির হাতে যে তথ‌্য আসছে, তা জানতে পেরেই ক্রমে আমির বিটকয়েনে লগ্নি করতে শুরু করে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ১৪৭টি ব‌্যাংক অ‌্যাকাউন্টে ৫০ কোটি টাকার উপর লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে আমিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু অন্তত ১০০ কোটি টাকা সে বিটকয়েনে পরিবর্তন করেছে। তার কয়েকজন নিকটাত্মীয়র মাধ‌্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা রাখে সে। সেই টাকাই প্রয়োজনমতো ভাঙিয়ে নিত। আবার বিদেশ থেকে টাকার লেনদেনের জন‌্য হাওলার কারবারও কাজে লাগাত। গেমিং অ‌্যাপের মাধ‌্যমে টাকা তুলে প্রথমে অ‌্যাপ ব‌্যবহারকারীদের টাকা ফেরতও দিয়েছিল। পরে তিনটি অ‌্যাপ বন্ধ করে দিয়েই ব‌্যবহারকারীদের লগ্নি করা টাকা হাতিয়ে নেয় সে। প্রথমে তার পারিবারিক পরিবহণ ব‌্যবসায় তিনটি মালবাহী গাড়ি ছিল। কয়েক বছরের মধ্যে সেই মালবাহী গাড়ির সংখ‌্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৯০টি, এমনই অভিযোগ পুলিশের। এই তথ‌্যগুলিও যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: দীর্ঘ জটিলতার পর উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু, প্রকাশিত ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement