মলয় কুণ্ডু: রাজ্যের নয়া লোকাযুক্ত হিসাবে বেছে নেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তকে। আজ সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই নয়া লোকাযুক্ত হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের (Justice Rabindranath Samanta) নামে সিলমোহর পড়ে। অন্যদিকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু এই বৈঠকে তিনি যে থাকবেন না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। ফলে বিরোধী দলনেতাকে ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক হয়।
জানা গিয়েছে, ১৯৮৭ সালে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। দীর্ঘ সময়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন), জেলা ও দায়রা জজ এবং কলকাতার সিটি সিভিল কোর্টের প্রধান বিচারক পদ-সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকী হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। এখানেই শেষ নয়, ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবেও নিযুক্ত হন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। ২০২৩ সালের ২৪ জুন তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
বলে রাখা প্রয়োজন, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠক হয় রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবন নবান্নে। সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকাটাই রীতি। আর সেই রীতি মেনে প্রতি বছর রাজ্য সরকারের তরফে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রশ্নই নেই। তাছাড়া খগেন মুর্মুকে (বিজেপি সাংসদ) রক্তাক্ত দেখার পর তো কোনও বৈঠকে যোগদান সম্ভব নয়। যাঁদের হাতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের রক্ত লেগে রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলা সম্ভব নয়।”
যদিও গত চার বছরে এধরনের কোনও বৈঠকে যোগ দেননি শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী তথ্য কমিশনার নিয়োগ কিংবা লোকায়ুক্ত গঠন নিয়ে বিধানসভায় আয়োজিত বৈঠকেও যোগ দেননি বিরোধী দলনেতা।
