বিশেষ সংবাদদাতা: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা! হয়তো দেখা যাবে না বাংলাদেশ সেনার কোনও কর্তা বা ঢাকার কোনও কূটনীতিক আধিকারিককেও। সেনা সূত্রে খবর, চলতি বছরের বিজয় দিবসে হয়তো বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধিকেই দেখা যাবে না ফোর্ট উইলিয়ামের অনুষ্ঠানে। হয়তো গরহাজির থাকতে পারেন কলকাতায় বাংলাদেশি হাইকমিশনের প্রতিনিধিরাও।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাক সেনার আত্মসমর্পণের দিনটিতে নানা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয় ফোর্ট উইলিয়ামে। সেখানে বাংলাদেশের কূটনীতিক আধিকারিক, সেনা কর্তা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা- সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েছে, তার প্রভাব পড়েছে ঢাকা-নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। সম্ভবত সেই কারণেই এবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ছাড়াই বিজয় দিবস পালিত হতে পারে ফোর্ট উইলিয়ামে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছরেই ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেদেশের সেনাকর্তারাও সপরিবারে কলকাতায় এসে যোগ দেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। তার পরে কলকাতায় ঘুরতে তাঁদের জন্য বিশেষ ট্যুরের ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবছর বাংলাদেশ থেকে কোনও মুক্তিযোদ্ধা বা কোনও সরকারি প্রতিনিধি কলকাতায় আসছেন না। এমনকী কলকাতার বাংলাদেশি হাইকমিশনের প্রতিনিধিরাও হয়তো যোগ দেবেন না এবছরের অনুষ্ঠানে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সংখ্যালঘুদের হত্যা, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সেই নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কর্তব্য মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। অন্যদিকে আবার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানো নিয়ে পালটা চাপ দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও। সবমিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। তার জেরেই কি এবছরের বিজয় দিবসে থাকছেন না বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা?