দীপঙ্কর মণ্ডল: সোমবার খুলছে জি ডি বিড়লা (GD Birla School) -সহ ৫ স্কুল। কিন্তু সম্পূর্ণ ফি না মেটালে ক্লাস করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের এই নোটিসের জেরে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে ৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে জি ডি বিড়লা-সহ একাধিক স্কুল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলের বাইরে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাই আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছিল পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলের। সোমবার অর্থাৎ ১১ এপ্রিল থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলছে জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন, অশোক হল (Ashoka Hall) এবং মহাদেবী বিড়লা শিক্ষা বিহার। কিন্তু ক্লাস করতে পারবে না সব পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ার ও তার বন্ধুকে গলা কেটে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য মগরাহাটে]
নোটিস অনুযায়ী, যে সমস্ত পড়ুয়া ১০০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে তারাই শুধুমাত্র ক্লাস করার অনুমতি পাবে। অর্থাৎ যারা ৮০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে, তারাও ক্লাস করতে পারবে না। নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলছে, কলকাতা হাই কোর্ট বলেছিল ফি বকেয়া থাকলেও ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত মানল না।
উল্লেখ্য, কিছু পড়ুয়ার ফি বকেয়া থাকায় তাদের ক্লাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন আগের সেই ঘটনায় পড়ুয়াদের ক্লাস করতেও দেওয়া হয়নি। স্কুল চত্বরে চলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। আদালতের দ্বারস্থ হন সেই অভিভাবকরা। ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বেসরকারি স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের ক্লাস করা আটকানো যাবে না।
নতুন ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রেও ফি কোনও বাধা হবে না। আদালতের রায়ে জয় পান অভিভাবকরা। তারপরই অশোক হল গ্রুপের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাণীকুঠির জিডি বিড়লা, মিন্টো পার্কের অশোক হল গার্লস, সাদার্ন অ্যাভেনিউর লিটল জেমস, বালিগঞ্জের মহাদেবী বিড়লা, অশোক হলের জুনিয়র সেকশন এবং জামির লেনের মহাদেবী বিড়লা বন্ধ হয়ে যায়।