গোবিন্দ রায়: বহু দিন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। বকেয়া মেটানোর দাবিতে আন্দোলনও করেছিলেন কর্মীরা। পরে যা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় ডানলপের সাহাগঞ্জ ও আম্বাতুরে দুটি কারখানার মোট ২৩০০ কর্মীকে অবিলম্বে বকেয়া হিসেবে এককালীন টাকা দিতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে বকেয়া হিসেবে আপাতত সর্বাধিক ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য (Justice Moushumi Bhattacharya)। আদালত জানিয়েছে, কারখানার সমস্ত কর্মীকে অবিলম্বে এই টাকা দিতে হবে হবে। পরবর্তীতে বাকি টাকা মেটাবে কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে নবান্নে মুখোমুখি মমতা-অমিত শাহ, থাকবেন আরও একাধিক মুখ্যমন্ত্রী]
মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী শুভংকর নাগ জানান, “প্রায় কয়েক বছর যাবত বন্ধ ডানলপের সাহাগঞ্জ ও আম্বাতুরে দুটি কারখানা। তাঁদের বকেয়া টাকাও পাচ্ছিলেন না কর্মীরা। কোম্পানিও নিলাম হয়ে গিয়েছে। তা সত্বেও বকেয়া পাচ্ছেন না কর্মীরা। এদিকে উৎপাদন বন্ধের পরে কর্মীদের সংগঠনগুলি প্রাপ্য আদায়ে একজোট হয়। আইএনটিউইসি (INTUC), সিটু (CITU), এবং আইএনটিটিইউসি (INTTUC) যৌথ মঞ্চ গড়ে হাই কোর্টে মামলা করে। এদিন হাই কোর্ট সেই টাকা মেটানোরই নির্দেশ দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ১০-এ শূন্য, রাম রহিমের ডেরায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বিজেপি!]
কর্মীদের দাবি ছিল, দীর্ঘ দিন আগে কোম্পানি লিকুইডেশনে চলে গিয়েছে। অফিসিয়াল লিকুইডেটর ইতিমধ্যেই কোম্পানির এ্যাসেট বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই সেই টাকা থেকে শ্রমিকদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক। তবে, এদিন লিকুইডেটারের আইনজীবী জানান, কোম্পানির অন্যান্য বকেয়া থাকায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত এই দুই কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বকেয়া মেটায়, নাকি আইনি পথে আবেদন জানায়, সেটাই দেখার।