সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে পোর্টাল বন্দি করতে হবে মৃত্যুর কারণ। এমনই নিয়ম কার্যকর করছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু হবে।
স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে জেএমটি পোর্টালে মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ করার সময় মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করতেই হবে। সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন। সেখানে লেখা মৃত্যুর কারণ সরকারি পোর্টালে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। ২০১৯ সালে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে এমসিসিডি পোর্টাল চালু করে রাজ্য সরকার। যেখানে মৃত্যুর কারণ নথিভুক্ত করতে হয়। এবার জেএমটি পোর্টালের সঙ্গে এমসিসিডিপোর্টালকে সংযুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মৃত্যু সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সরাসরি স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতের নাগালে থাকবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, জনস্বাস্থ্যের গতিপ্রকৃতি বুঝতে হলে মৃত্যুর বয়স এবং কারণ জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবেই কোন এলাকায় কোন কারণে মৃত্যুহার বেশি তা চিহ্নিত করা সম্ভব। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কোনদিকের উন্নয়ন দরকার, তাও স্পষ্ট হয়। আর এই কারণেই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।
গত তিন বছরের তথ্য দেখলে বোঝা যায়, মৃত্যুর কারণ উল্লেখে হার মোটেও সন্তোষজনক নয়। ২০২১ সালে সরকারি পোর্টালে যতগুলি মৃত্যু নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মাত্র ২৩.৭ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ আছে পোর্টালে। ২০২২ সালে এই হার আরও কম। মোটে ১৭.২ শতাংশ। আবার ২০২৩ সালে এই হার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ।
মুর্শিদাবাদে এই পাইলট প্রজেক্ট চালুর বিষয়টিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। জেলাটি শিক্ষাগত ও আর্থিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়া। পাশাপাশি জাতিগত বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। এই ধরনের জেলায় এই প্রজেক্ট সফল হলে তা সহজেই রাজ্যের অন্যান্য জেলায় কার্যকর করা যাবে।