ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের মহারণে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তারই পুরষ্কারস্বরূপ এবার তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দিল দল। সর্বভারতীয় সম্পাদক হলেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর কেমন লাগছে তাঁর? কীভাবেই বা এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবে টুইট করে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক। কী বললেন অভিষেক?
শনিবার টুইটারে অভিষেক লেখেন, “নতুন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ। হাজার বাধা থাকা সত্ত্বেও যাঁরা আমার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, যাঁরা বাংলাকে জিতিয়েছেন, দলের সেই সমস্ত সৈনিককে ধন্যবাদ।” তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান অভিজ্ঞ নেতাদেরও। লিখেছেন, “দলের সমস্ত অভিজ্ঞ. বর্ষীয়ান নেতাদের ধন্যবাদ। যাঁরা দুর্দিনের দলের পাশে ছিলেন। দলকে সবথেকে বেশি মূল্য দিয়েছেন।” কীভাবে নিজের নতুন দায়িত্ব পালন করবেন অভিষেক, টুইটারে তারও আভাস দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “আমি সকলকে কথা দিচ্ছি চেষ্টা কোনও ত্রুটি রাখব না। দেশের প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি কোনায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, কাজ পৌঁছে দেব।”
[আরও পড়ুন: মিশন ২০২৪: অতীতের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে জাতীয়স্তরে গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল]
একুশের নির্বাচনী প্রচার থেকেই ফ্রন্ট লাইনে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে, প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে কোনও ঘাটতি রাখেননি তিনি। পাহাড়প্রমাণ দায়িত্ব নিয়ে একাধিক জেলায় তৃণমূলকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইয়েছেন। অথচ নির্বাচনী লড়াইয়ে জিততে কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা তাঁকেই বারবার নিশানা করেছেন। ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রত্যেকেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র বাক্যবাণকে উপেক্ষা করে একুশের ভোটে নিজের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রাণ দিয়েছেন অভিষেক। মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও দেখা গিয়েছিল তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের মুখে বারবার অভিষেকের নামই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূলের তরুণ নেতার উত্থান। সেই ভবিষ্যৎবাণীই সত্যি হল এদিন। এবার বাংলার মতো জাতীস্তরের পিচেও তিনি রান পান কি না, সেটাই এখন দেখার।