অর্ণব আইচ: কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election) শান্তিপূর্ণ করাই মূল লক্ষ্য ছিল পুলিশ। সেই লক্ষ্যে যে বেশ অনেকটাই সফল কলকাতা পুলিশ, তা বলাই যায়। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া বড় কোনও গন্ডগোল দানা বাঁধতে পারেনি শহরে। তবে বোমাবাজি, বুথে উত্তেজনার খবরাখবর স্বীকার করেছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (Joint CP) শুভঙ্কর সিংহ সরকার। রবিবার দুপুরে তিনি লালবাজার থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশান্তির ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ, সেসব বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তিনি।
জয়েন্ট সিপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুরভোটে দুই জায়গায় বোমাবাজি (Bombing) হয়েছে। খান্না হাইস্কুলের সামনে সকালে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। বেলা আরেকটু বাড়তে শিয়ালদহের টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি শুরু হয়। তাতে জখম হন দীপু দাস নামে এক ব্যক্তি-সহ দু’জন। বোমাবাজিতে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন দীপু। তিনি বর্তমানে ভরতি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, দীপু কাশিমবাজার রোডের বাসিন্দা। তিনি পেশায় গাড়িচালক। জখম দীপুর দাবি, রবিবার সকালে টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে সিগারেট কিনতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বোমাবাজির মাঝে পড়েন। গুরুতর জখম হন তিনি। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাগান এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে তৃণমূলের ব্যানার, ফ্লেক্স। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখাতেই বোমাবাজি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘টাকার বিনিময় প্রার্থী করেছে বিজেপি’, কলকাতা পুরভোটের দিন ফের বোমা ফাটালেন রূপা]
এছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। এসবের পর দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিংহ সরকার। তিনি জানিয়েছেন, জৈন স্কুলের হাতাহাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাকি স্কুলের বোমাবাজির ঘটনায় ধরা পড়েছেন একজন। পুরভোটে অশান্তিতে উসকানি দেওয়া-সহ একাধিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৭২ জন। তবে জয়েন্ট সিপির দাবি, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কোথাও অশান্তির খবর মিললেই, পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।