শুভঙ্কর বসু: পুরভোটে EVM-এর সঙ্গে ভিভিপ্যাট (VVPAT) কেন থাকবে না? কলকাতা হাই কোর্টে পুর-মামলায় এবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি। পাশাপাশি আবারও রাজ্যের সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করাতে অসুবিধা কোথায়, সে নিয়েও সওয়াল করা হয়? রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে যে EVM মেশিনগুলি রয়েছে, তা M2 টাইপ। আসন্ন পুরভোটে সেই মেশিনগুলিই ব্যবহার করা হবে। কিন্তু বিজেপির দাবি, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে উন্নত মানের M3 টাইপের EVM মেশিনে ব্যবহৃত হয়েছিল। যার সঙ্গে অনায়াসেই ভিভিপ্যাট যুক্ত করা যায়। পুরভোটেও সেই মেশিনই ব্যবহার করা হোক, মঙ্গলবার হাই কোর্টে এই দাবি জানিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলের তরফের আইনজীবী পিংকি আনন্দ বলেন, ২০১৫ সালে ৯১টি পুরসভার ভোট একসঙ্গে হয়েছিল। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সেবার ৮ হাজার ইভিএম আবেদন করে পাওয়া গিয়েছিল। এবার কেন সেভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না? ঠিক কোন কারণে শুধু কলকাতা এবং হাওড়াতেই পুরভোটের কথা আলাদা করে ভাবা হয়েছিল? আদালতে ফের সে প্রশ্ন করেন পিংকি আনন্দ।
[আরও পড়ুন: KMC Election: স্বাস্থ্য-শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন থেকে দুর্নীতি রোধ, পুরভোটে বিজেপির ইস্তেহারের আগাম ঝলক]
বিজেপিকে নিজেদের সমস্ত আবেদন বুধবারের মধ্যে লিখিতভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর আগামী শুক্রবারের মধ্যে বিজেপির আবেদনের জবাব দিতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় ভোট (KMC Election)। কিন্তু রাজ্যের আরও ৬ পুরনিগম-সহ ১১৩টি পুরসভার ভোট এখনও বাকি। সেসব পুরসভায় ভোট করানো নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা, তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে হাই কোর্ট জানতে চেয়েছিল পুরভোট নিয়ে চিন্তাভাবনা কী। সোমবার হলফনামায় সেই প্রশ্নের উত্তর দেয় কমিশন। জানানো হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে পুরভোট করাতে প্রস্তুত কমিশন। ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হতে পারে।
[আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Election: পুরভোটে লড়ছে ঘরের ছেলে, ক্ষোভে বাড়িছাড়া করল পরিবার]
এদিকে, কলকাতা পুরভোটে আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলেই রাজভবনে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, রাজভবনে জানানো হয়েছে, রাজ্য প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে। যেভাবে পুলিশ মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে, তাতে আশ্বস্ত কমিশন।