shono
Advertisement

আরজি কর হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত নিখোঁজের মামলায় DNA রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট

এই বিষয়ে তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। The post আরজি কর হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত নিখোঁজের মামলায় DNA রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:41 PM Jul 07, 2020Updated: 09:47 PM Jul 07, 2020

শুভঙ্কর বসু: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার দু’দিনের মধ্যেই ডিএনএ (DNA) রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata high court)। কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবের কাছ থেকে মঙ্গলবার ওই রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

গত ১২ জুন চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন জনৈক বাবান মণ্ডলের স্ত্রী। তার পরের দিনই সদ্যোজাতের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, গত ২৫ জুন সদ্যোজাতর মাকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় ১০ দিন আগে তার সন্তান মারা গিয়েছে। এর পাশাপাশি মর্গ থেকে একটি পচা গলা দেহ এনে তাঁকে দেখানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই চন্দননগরের মণ্ডল দম্পতি ওই মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। তাঁদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের সন্তানকে সরিয়ে অন্য একটি মৃত শিশুকে দেখিয়েছে। কিন্তু, এই চিঠির জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বাবান মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী। আর তাঁদের অভিযোগ শোনার পর হাসপাতালের যাবতীয় নথি তলব করে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ, কলকাতায় বাড়ল কনটেনমেন্ট জোন, দেখে নিন তালিকা]

মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। যদিও এদিন মৌখিকভাবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের তরফে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। তাই হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, শিশুটির মৃত্যুর পরই ফোনে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, ফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি।

এর প্রেক্ষিতে আদালত প্রশ্ন তুলেছে, ফোনে পরিবারের লোকজনকে পাওয়া না গেলেও তাঁদের কি এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছিল? পাশাপাশি পরিবারটি যখন শিশু নিখোঁজের অভিযোগ সামনে আনে তারপর কি এব্যাপারে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল? আদালতের এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য।

তখন মামলাকারীদের তরফে পালটা জানানো হয়, শিশুটি ভরতি হওয়ার পর তার বাবা বাবান মণ্ডল হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন। সত্যতা জানার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনের রেকর্ড ও টাওয়ার লোকেশন যাচাই করা হোক। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যদি ১৫ জুন শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত কার জন্য মায়ের বুকের দুধ হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হল? সদ্যোজাতকে ভরতি নেওয়ার পর থেকে তার বাবাকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর ২১ জুন চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আরজি করে আসেন বাবানের স্ত্রী। তাঁকেও হাসপাতালে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বদলে শিশুর জন্য তাঁর বুকের দুধ ভিতরে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫ জুন কার্যত মরিয়া হয়ে তিনি সদ্যোজাত চিকিৎসা বিভাগের নির্দিষ্ট বেডে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার জুড়ে দেন। তখনই তাঁকে শিশুটির মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: গঙ্গার নিচে মেট্রোর লাইন পাতার তোড়জোড়, অস্ট্রিয়া ও আমেরিকা থেকে এল সরঞ্জাম]

The post আরজি কর হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত নিখোঁজের মামলায় DNA রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement